মোঃ জিলু মিয়া, আব্দুল বাসিত খান ও মাসুকুর রহমান এই তিন প্রবাসীকে নিয়ে সিলেটে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। এরা দ্রুত খোলস বদলে শরীর থেকে আওয়ামী গন্ধ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জাতীয়তবাদী সাজার প্রানান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আন্দোলন সংগ্রামের প্রিয়মুখ জননেতা এম এ মালেককে ব্যবহার করছে এই খোলস বদলকারী গ্রুপটি। চার পাঁচ দিন ধরে মালেকের আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। ভূমিখেকো দখলবাজ গ্রুপটি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের প্রভাবশালী নেতাদের ব্যবহার করে।
এতদিন তারা পতিত স্বৈরাচারের কুখ্যাত সহচর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে ব্যবহার করেছে। কালা মাগুর খ্যাত আনোয়ারের ঘনিষ্ট মিত্র ছিলো এরা। আনোয়ার অবৈধ ভুয়া ভোটের মেয়র হওয়ার পর থেকেই জিলু গংরা সিলেটের বিভিন্ন জায়গা জমি, রিসোর্ট দখলে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর এই চক্রটি কুলকিনারা হারিয়ে ফেলে। ধুরন্ধর জিলু ও বাসিতরা আওয়ামী গন্ধ মুছে ফেলে এবং রাতারাতি বিএনপির সেজে যায়।
তাদের চুড়িচোট্টামি দখল বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে এবার তারা টার্গেট করে বিএনপির বীর সেনানী অত্যন্ত ভাল মনের মানুষ এম এ মালেক। গত পাঁচদিন ধরে এরা মালেকের সাথে বিচরণ করছে। সরল মনের ভাল মানুষ। মালেকের বিয়য়টি পাত্তা দেয়নি। তবে আজ মঙ্গলবার একটি সুধী সমাবেশ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মালেকের ঠিক পেছনেই বসে অনোয়ারুজ্জামানের ঘনিষ্ট মিত্র জিলু ও বাসিত।
সিলেট বিএনপির সাধারণ নেতৃবৃন্দ তাদের স্টেজে দেখে ক্ষোভ জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধমে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। ফেসবুকে তাদের নিয়ে ঝড় উঠে। সমালোচনা আর সমালোচনা। গত ১৭ বছর যারা আওয়ামী লীগের হয়ে লুটেছে তারাই যদি আবার বিএনপির প্রোগ্রামে স্টেজে উঠে যায় তাহলে -এই দলের জন্য জীবন দেয়া, কারান্তরীণ হওয়া, নির্যাতন ভোগ করা সবকিছুকে ব্যর্থ মনে করে সবাই। আগামীতে আর কোন বিএনপি নেতার পাশে এইসব খোলস পাল্টানো আওয়ামী নেতা জিলুরা ভিড়তে না পারে সতর্ক থাকতে বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান তারা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।