তরুণ লেখিকা ফারহানা নিমগ্ন দুপুর। চমৎকার লিখেন। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। উপন্যাস, গল্প ও কবিতার মাধ্যমে পাঠকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। বিশেষ করে তাঁর থ্রিলার উপন্যাস দ্য ব্ল্যাক মুন পাঠক সমাজে বেশ সাঁড়া জাগিয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য চর্চাসহ নানা বিষয় নিয়ে ডেইলি নববার্তার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি।
ডেইলি নববার্তা: কেমন আছেন?
দুপুর: আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
ডেইলি নববার্তা: আপনার নাম নিয়ে পাঠকদের মাঝে কৌতুহল রয়েছে। এটা কি আসল, নাকি লেখালেখির জন্য ছদ্মনাম বেছে নিয়েছেন?
দুপুর: আমার পুরো নাম ফারহানা নিমগ্ন ইসলাম দুপুর। আমার মামণি (মা) একজন রাইটার। তিনিই মূলত আমার নাম নিমগ্ন দুপুুর রেখেছেন। তাই লেখালিখির জন্য আমি নামটা শর্ট করে ব্যবহার করছি।
ডেইলি নববার্তা: সাহিত্যের পথে চলতে গিয়ে কখনো বাঁধা পেয়েছেন?
দুপুর: জীবন মানেই বাঁধা। এছাড়া এদেশের সাহিত্যের পথটা খুবই অমসৃণ। তাই প্রতি পদে পদেই বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি।
ডেইলি নববার্তা: এখন পর্যন্ত আপনার কয়টি বই বের হয়েছে? এবং পাঠকের কাছ থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন?
দুপুর: কবিতা উপন্যাসসহ আমার ৫টি বই বেরিয়েছে এবং পাঠকের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি।
ডেইলি নববার্তা: সামনের বইমেলায় নতুন কোন বই আসবে?
দুপুর: আশা করছি দ্য ব্ল্যাক মুন সিরিজের ২য় পর্ব ‘ডার্ক রোমান্টিক ফ্যান্টাসী’।
ডেইলি নববার্তা: সাহিত্য অঙ্গনে আপনার যাত্রা মূলত কবি হিসেবে। পাঠকরা আপনাকে কবি হিসেবেই চিনতো। আপনার কবিতার পাঠকরা কি নতুন কোনো কবিতার বই পাচ্ছে সামনে?
দুপুর: নতুন কবিতার বই নিকট ভবিষ্যতে আমার পাঠকদের হাতে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা তো অবশ্যই আছে। কারণ কবিতা যার রক্তে তার তো কবিতা ছাড়া জীবন অচল!
ডেইলি নববার্তা: বর্তমানে পাঠক সমাজ আপনাকে ফ্যান্টাসী থ্রিলার রাইটার হিসেবে চেনে। উপন্যাসের ক্ষেত্রে এই জনরাটাই বেছে নিলেন কেনো?
দুপুর: দেখুন আমি একজন আধ্যত্মবাদী মানুষ। আমার চিন্তার জগৎটাই একটা ফ্যান্টাসী ওয়ার্ল্ড। দৈনন্দিন কাজের বাইরে আমি সব সময় সেখানেই থাকি। তাই লেখার ক্ষেত্রে আমি এই জনরাটাই বেছে নিয়েছি।
ডেইলি নববার্তা: ভবিষ্যতে আপনার থেকে কি পাঠক অন্য কেনো ধরনের লেখা আশা করতে পারে?
দুপুর: অবশ্যই। আমি অলরেডি একটা সমকালীন উপন্যাস নিয়ে কাজ করছি। সময় মত সেটাও প্রকাশিত হবে।
ডেইলি নববার্তা: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দুপুর: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।