কোহলি-রাহুলের সেঞ্চুরিতে ভারতের রানে পাহাড়। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে মুখোমুখি ভারত এবং পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেসে যাওয়ায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই দেশের জমজমাট লড়াই উপভোগ করতে পারেননি ভক্ত-সমর্থকরা। এদিকে সুপোর ফোরের এই ম্যাচও বৃষ্টি বাগড়ায় গড়ায় রিজার্ভ ডে’তে। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে রাহুল-কোহলির শতরানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৫৬ রান সংগ্রহ করে রোহিত শর্মার দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিবমন গিল। প্রথম ওভারে শাহিন আফ্রিদিকে ছয় দিয়ে স্কোর বোর্ডে রান যোগ করেন রোহিত শর্মা। শুরু থেকে পাকিস্তান বোলাদের ওপর চড়াও হন এই দুই ওপেনাররা।
এই দিন পাকিস্তানের বোলাররা ছিল একদম ছন্ন ছাড়া। মারমুখী ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক পূরণ করেন গিল ও রোহিত। তবে ইনিংসের ১৭তম ওভারে প্রথম সাফল্য পায় পাকিস্তান। শাদাব খানের বলে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। দলীয় ১২১ রানে ৪৯ বলে ৫৬ রানে আউট হন রোহিত। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। কোহলিকে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গিল।
তবে দলীয় ১২৩ রানে ৫২ বলে ৫৮ রান করে আউট হন গিল। তাকে সাজঘরে ফেরান শাহিন আফ্রিদি। এরপর ক্রিজে আসা রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন কোহলি। ২৪.১ ওভারে ভারত ২ উইকেটে ১৪৭ রান করার পর নামে বৃষ্টি।
সেখান থেকে রিজার্ভ ডেতে শুরু হয় খেলা। রিজার্ভ ডের শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার রাহুল ও কোহলি। পাকিস্তানি বোলারদের কোন রকম সুযোগ না দিয়ে অর্ধশত রান তুলে নেন রাহুল ও কোহলি।
এই দুই ব্যাটারের অর্ধশতরানের পর আরও আগ্রাসী হয়ে পাকিস্তান বোলারদের ওপর চড়া হতে থাকেন। ১০০ বলে শতক পূর্ণ করেন রাহুল। তার শতকের পরেই ৮৪ বলে ক্যারিয়ারের ৪৭তম শতক পূর্ণ করেন কোহলি। সেইসঙ্গে ওয়ানডেতে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই কিং কোহলি।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান সংগ্রহ করে রোহিত শর্মার দল। রাহুল ১১১ ও কোহলি ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে শাহীন আফ্রিদি ও শাদব খান নেন ১টি করে উইকেট।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।