মণিরামপুরে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সতীত্ব হরণের অভিযোগ উঠেছে। যশোরের মণিরামপুর আলামিন পার্কের ভিতর ছেলে বন্ধুকে সাথে নিয়ে ঘুরতে আসে কেশবপুর কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন। আলামিন পার্কের ভিতর ছেলে বন্ধুর সাথে শিক্ষার্থীর কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ওত পেতে থাকা আলামিন নামক এক যুবক।
ভিডিও ধারণ করে শুরু হয় ব্লাকমেইল। প্রথমে আলামিন ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষার্থী খাদিজার কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন। অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আলামিন তাকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দেয়। শিক্ষার্থী খাদিজা কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে বিবাহের প্রস্তাবও দেয় আলামিন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থী খাদিজাকে যশোরে নিয়ে মিথ্যা সাজানো বিবাহ করে আলামিন। শুরু হয় আলামিনের পশুত্ব আচরণ শিক্ষার্থী খাদিজাকে দেহ ব্যাবসার প্রস্তাব দেয় আলামিন। রাত কাটাতে থাকে খাদিজার সাথে রাতের পর রাত নিরবে ধর্ষণ হতে থাকে শিক্ষার্থী খাদিজা। হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান খাদিজা অসহায় হয়ে পড়ে। পিতা মাতাকে চাপ প্রয়োগ করে খাদিজা ২০ হাজার টাকা তুলে দেয় আলামিন এর হাতে। যাতে তাকে দেহ ব্যবসা করানো না হয়। এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী খাদিজা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন আরো বলেন, এতকিছুর পরও মান সম্মানের ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলতে পারি না আমি প্রশাসনের নিকট আলামিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
আলামিন মণিরামপুর জুড়ানপুর গ্রামের সিরাজুলের ছেলে। খোজ খবর নিয়ে আরো জানা যায়, আলামিন দরিদ্র মেয়েদের টার্গেট করে ব্লাকমেইল এর মাধ্যমে দেশের বাইরে নারী পাচার করে এবং অসহায় মেয়েদেরকে দেহ ব্যাবসা করতে বাধ্য করে। এবিষয়ে আলামিনের কাছে জানতে চাইলে আলামিন সংবাদকর্মীদের হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।