ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ মানেই যেন বাংলাদেশের একক আধিপত্য। অন্তত গত ১৫ বছরের পরিসংখ্যান সে কথাই বলে। তবে এবার সিরিজ হারের শঙ্কায় স্বাগতিকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজ হলেও শেষ ম্যাচ জিতে সমতায় তা শেষ করতে চায় বাংলাদেশ।
এমন ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে লাল-সবুজের দলে আজও সঙ্গী ছিল ব্যাটিং বিপর্যয়। বিশ্বকাপের আগে শেষ এই আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষিক্ত অধিনায়ক শান্ত ছাড়া বড় ইনিংস খেলতে পারেনি আর কেউই। চোট থেকে ফিরে আসা এই ব্যাটারের ৭৬ রানের ইনিংসে ভর করেই শেষ পর্যন্ত ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রানে অলআউট বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১৭২।
দলের বিপদে একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। বেশ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটিও তুলে নেন শান্ত। নিজের আগের দুই ইনিংসেও (এশিয়া কাপে ৮৯ ও ১০৪) রান করেছিলেন তিনি। দুর্দান্ত ধারাবাহিক এই ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ফিরেও রান পেলেন। কিন্তু তার দায়িত্বশীল ইনিংসটি থামলো রিভার্স সুইপের মতো অদূরদর্শী শট খেলে।
কিউই স্পিনার ম্যাকঞ্চির শিকার হয়ে ফেরার আগে ৮৪ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৭৬ রান করেন শান্ত। দলীয় ১৬৮ রানে তিনি সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার পর মাত্র আর ৩ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৩৪ রানে টাইগাররা হারিয়েছে শেষ ৬ উইকেট। কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনে ৩৪ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার ট্রেন্ট বোল্ট আর কোলে ম্যাকঞ্চির।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারে সুযোগ পাওয়া তিন তরুণ ব্যাটারই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। অ্যাডাম মিলনেকে ড্রাইভ করতে গিয়ে বল ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন অভিষিক্ত জাকির হাসান (১)। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও বিদায় নেন খুব দ্রুত।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি মোকাবেলা করতে এসেই অফ স্ট্যাম্পের ওপর রাখেন বোল্ট। খোঁচা দিতে যান তামিম। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। ফিন অ্যালেন ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন। ৫ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম।
তাওহিদ হৃদয় এশিয়া কাপে একটি ম্যাচ ছাড়া প্রায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। আজও তিনি ব্যর্থ হলেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বলে ১৮ রান করে বিদায় নিলেন তিনি।
মুশফিকুর রহিমও সেট হয়ে আউট হন। যদিও তার আউটটা ছিল কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক। ফার্গুসনের বল ডিফেন্ড করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। বল ব্যাটে লেগে ড্রপ খেয়ে উইকেটে লেগে যায়। মুশফিক পা বাড়িয়ে চেষ্টা করেছিলেন আটকানোর, পারেননি।
মুশফিক-শান্তর জুটিতে আসে ৫৯ বলে ৫৩ রান। ২৫ বলে ১৮ করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ৮৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন শান্ত। তবে মাহমুদউল্লাহ সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মিলনের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন তিনি। ভাঙে ৫৫ বলে ৪৯ রানের জুটি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।