চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ‘এ’ দলকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান ‘এ’ দল। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ভারতকে ১২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহাম্মদ হারিসের পাকিস্তান।
রোববার (২৩ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস হেরে মিডলঅর্ডার ব্যাটার তাইয়েব তাহির ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩৫২ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। ভারত ‘এ’ দল ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায়।
৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রার জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় ভারত ‘এ’ দল। দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও সাই সুদর্শন ৬৪ রান এনে দেন। ব্যক্তিগত ২৯ রানে সুদর্শন ফিরে যান। দলীয় ৮০ রানের সময় আউট হন নিকিন জোসে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫২ রান সংগ্রহ করেন ধূল-অভিষেক জুটি। তবে অভিষেকের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে ভারতের ব্যাটিং লাইন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ধূলের দল। শেষ পর্যন্ত ২২৪ রান সংগ্রহ করতে পারে ভারত ‘এ’ দল। পাকিস্তানের পক্ষে সুফিয়ান মুকিম ৩টি এবং আরশাদ ইকবাল, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মেহরান মুমতাজ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইম আইয়ুব এবং শিহাবজাদা ফারহানে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। দুজনে ১২১ রানের জুটি গড়েন। ৫৯ রান করে আইয়ুব সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার সিহাবজাদা ৬৫ রানে আউট হন। ইউসুফ ৩৫ রানে রায়ান পরাগের বলে ফিরে যাওয়ার ৪ রানের ব্যবধানে কাসিম আকরাম এবং মোহাম্মদ হারিস ফিরে যায়। ১৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে আরেকবার ভারতের বিপক্ষে অলআউট হবার সম্ভাবনা জাগে।
তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাইয়েব তাহির-মোবাসির খান ১২৬ রান সংগ্রহ করেন। এরই সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে বিশাল রান লক্ষ্যমাত্রা দিতে সক্ষম হয় পাকিস্তান ‘এ’ দল। তাহির মাত্র ৭১ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে ১০৮ রান করেন। মোবাসির ৩৫ রান করেন। ভারতের পক্ষে রিয়ান পরাগ ও রাজবর্ধন ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।