কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রবাসে থাকা এক বর টমটম গাড়িতে চড়ে কনের বাড়ীতে বিয়ে করতে এসেছেন। আর এ বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের প্রচন্ড ভীড়।
বরের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হলেও তিনি থাকেন দুবাই এ। আধুনিক সভ্যতার এ যুগে প্রাচীন আমলের এই বিবাহ প্রথা এখন আর তেমন চোখে পড়েনা।তবে দুবাই প্রবাসী বরের এ বিয়ে নজর কেড়েছে এলাকার উৎসুক জনতার। গত রাতে এমনি ব্যতিক্রমী একটি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় গিয়ে দেখা গেছে, বরের পক্ষ থেকে ৮০টি মোটর সাইকেল ও ২৫ টি মাইক্রোবাসে চরে সাড়ে ৩ শতাধিক বরযাত্রী সেইসাথে এসবের মধ্যে অত্যন্ত সুসজ্জিত টমটম গাড়িতে চড়ে বর আসেন কনের বাড়ীতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পুর্ব ফুলমতি গ্রামের স্কুল শিক্ষক তৈয়ব আলীর কন্যা তুবা খাতুন (২০) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্প্রদানের ঠিক হয় ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শাহাজাদা মিয়ার দুবাই প্রবাসী ছেলে আশেক আহমেদ নিপুন এর সাথে।অনেক আগে বিয়েতে দেখা যেত ঘোড়ার গাড়ি, পালকি, টমটম গাড়ি। কিন্তু এখন আর তা খুব একটা চোখে পড়েনা। বর্তমান যুগে এর প্রচলন নেই।
আধুনিক যুগের বিয়েতে প্রাচীনকালের হারিয়ে যাওয়া সেই চিত্র এবার প্রবাসীর বিয়েতে দেখা যায়। রাস্তার দুই ধারে দাড়িয়ে থেকে দেখতে থাকেন স্থানীয় জনতা।বরের গাড়ি কনের বাড়ীতে এসে পৌঁছামাত্র টমটমে চড়ে বিয়ে করতে আসা বরকে দেখতে লেগে যায় প্রচন্ড ভিড়। উৎসুক নারী পুরুষের ঢল নামে সেখানে। বিয়ের বাড়ির পাশের প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম জানান,অনেকদিন পর সেই প্রাচীনকালের হারিয়ে যাওয়া টমটম গাড়িতে বিয়ে করার চিত্র দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লেগেছে।
গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় আধুনিক বিয়ের আয়োজন করায় বর পক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ। বরের এক ভাই শামিম পারভেজ জানান, এ ধরনের বিয়েতে সেই আদিম যুগের ছোঁয়া লাগাতে সুদুর রংপুর থেকে আমরা কুড়ি হাজার টাকায় ভাড়া করে এনেছি এ সুসজ্জিত টমটম গাড়ি। বরের ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম জানান, আমার শ্যালক (বর) খুবই সৌখিন মনের মানুষ। তার ইচ্ছাতেই বরের যাতায়াতের জন্য টমটম গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কনের চাচা নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা বলেন, আমার ভাতিজির বিয়েতে টমটম গাড়িতে চড়ে বর এসেছেন বিয়ে করতে। এধরনের অবাক করার মত টমটম গাড়িতে বিষয়টি বিয়ে বাড়ীর উপস্থিত সকল আতœীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজনকে খুবই মুগ্ধ করেছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।