নিজেদের টাকায় চরবাইজুরী পঞ্চরাস্তা মোড় থেকে ঘিওর সরকারি কলেজ ব্রীজ সংলগ্ন সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করে দিলেন ঘিওর নদীর উত্তর পারের ব্যবসায়ী ও মার্কেট মালিকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরবাইলজুরী পঞ্চরাস্তা মোড় থেকে কলেজ ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষের যাতায়াত। সামান্য বৃষ্টি হলেই দীর্ঘমেয়াদী দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। খানাখন্দ ভরা এ রাস্তায় মাঝেমধ্যেই ঘটে যানবাহনের দুর্ঘটনা। সিএনজি ও হ্যালো বাইকের বডির অর্ধেক পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। তাছাড়াও মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার ডুবে যায়। এ দুর্ভোগ এড়াতে প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে ঘিওর বাজারে যাতায়াত করতে হতো।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার চরবাইলজুরি পঞ্চরাস্তা মোড় থেকে ঘিওর সরকারি কলেজ রোডের শত-শত লোকের বসবাসের ও হাজার হাজার লোকের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি একটু বৃষ্টি হলেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠে ছিল।একালাবাসী ও পথচারীদের দাবীর প্রেক্ষিতে পঞ্চ রাস্তার ব্যবসায়ীরা নিজ অর্থায়নে ড্রেন নির্মাণ করে দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন। এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য দুটি ড্রেনও নির্মাণ করে দেন তারা।
পথচারী ভুক্তভোগী, গ্রামবাসী ও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ সড়কটি সংস্কারের। বারবার প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করলেও নজরে আসেনি। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের অর্থে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ড্রেন দুটি নির্মাণ করেছেন।
জানতে চাইলে মার্কেট মালিক মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, ড্রেন নির্মাণে আমরা কারো কাছে কোনো চাঁদা নেয়নি। আমাদের নিজ অর্থ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করেছি। এটি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এখন খুব সহজেই এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার পথচারীরা চলাচল করতে পারবেন। এ ড্রেন নির্মাণের ফলে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে।
পথচারী মো: জহিরুল ইসলাম বলেন, বিত্তবানরা এভাবে এগিয়ে এলে বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। আমরা ব্যবসায়ীদের এ মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন মুসল্লি আক্ষেপ করে বলেন- একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়। অনেক কষ্ট করে আমাদের মসজিদে যেতে হয়। প্রশাসনের লোকজন দেখেও যেন দেখেনা। নিরুপায় হয়ে মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীরা ড্রেন নির্মাণ করে মসজিদে যাওয়ার সুব্যবস্থা করে দিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।