শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চাঞ্চলকর ও ক্লুলেস অটোচালক শাহ আলম হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার সাথে জড়িত সবুজ মিয়া ও রুপনকে গ্রেপ্তার সহ ছিনতাইকৃত অটো এবং অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৮ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সবুজ মিয়া গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার ইটাহাটা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে এবং রুপন ঝিনাইগাতী উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের আব্দুর রহিম এর ছেলে। এ বিষয়ে ৯ অক্টোবর সোমবার দুপুর ১২টায় শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম তার সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করেন।
উক্ত প্রেস ব্রিফিং সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার শ্রীবরদী উপজেলার ধাতুয়া আড়াইলাকান্দা গ্রামের শাহ আলমকে রাত ৮টার দিকে ওই দুই ব্যক্তি উপজেলার কুচনীপাড়া বাজার থেকে ৫ শত টাকায় ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুড়াঘুড়ি করে। এসময় তারা বাকাকুড়া বাজার থেকে গরু বাঁধার রশি ক্রয় করে আবার অটোতে উঠে কুচনীপাড়ার দিকে রওনা হয়। কুচনীপাড়া বাজারে আসার পর শাহ আলমকে ৫০টাকা নগদ দিয়ে বাকি টাকা পরে দিবে বলে তারা চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর সবুজ মিয়া শাহ আলমকে বাকি ৪৫০টাকা নেয়ার জন্য শাহ আলমকে ফোন দিলে পূণরায় শাহ আলম তাদের কাছে আসলে সবুজ মিয়া অটোর পিছনে আর রুপন শাহ আলমের সাথে বসে। কিছুদুর যাওয়ার পর পিছন থেকে শাহ আলমের গলায় পিছন থেকে দড়ি দিয়ে বেধেঁ ফেলে সবুজ মিয়া। পাশে বসা রুপন শাহ আলমকে জাপটে ধরে। শাহ আলমের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাকে কুচনীপাড়া রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে ফেলে রেখে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গতকাল রবিবার সকালে নিহত অটো চালক শাহ আলমের মরদেহ কুচনীপাড়ায় এক ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ আরো জানা গেছে, পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম এর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরামর্শে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া, ঝিনাইগাতী থানার এসআই রাজীব ভৌমিক,ফরিদ উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন, দুলাল মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শরিফুর রহমান, শ্রীবরদী থানার এসঅঅই আশিকুর রহমান হেলাল উদ্দিনসহ এলআইসি পুলিশ শেরপুরের সম্বনিত অভিযানে ঝিনাইগাতী উপজেলার বালিয়াচন্ডি পশ্চিমপাড়া গ্রামের নবীয়াল হোসেনের বাড়ী থেকে চুরিকৃত অটোটি উদ্ধার করা হয় এবং এলআইসি শাখার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে সবুজ ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) মোঃ দিদারুল ইসলাম সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।