পিরোজপুরের কাউখালীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে আটক দুই জেলে ফাঁড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ওই চার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) খুলনা জোনের নৌ পুলিশ সুপার মো. শরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে দায়িত্বে অবহেলার কারণে জেলার কাউখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির তিন কর্মকর্তা ও এক সদস্যকে শাস্তিমূলক প্রত্যাহার করা হয়।
এরা হলেন- কাউখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক, এসআই আলামিন, এসআই মো. ইউনুস আলী ও সেন্ট্রি আব্দুস সালাম। কাউখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও এক পুলিশ সদস্যকে খুলনা নৌ পুলিশ সুপার কর্তৃক খুলনা নৌ-পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে গত শনিবার (২১ অক্টোবর) জেলার কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চালায় নৌ-পুলিশ। অভিযান চলার সময় সন্ধ্যা নদীর সুবিদপুর খালের মোহনায় জেলেরা নদীতে মাছ ধরার সময় উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে মো. শাহিন (২০) ও একই গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. কাইয়ুমকে (১৯) আটক করে নৌ পুলিশ।
পরে তাদের ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। আটক আসামিদের হাতকড়া না থাকায় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়ে আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। এদের নামে সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইউনুস আলী বাদী হয়ে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ও পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (বদলিকৃত) আব্দুল রাজ্জাক জানান, তারা থুথু ফেলার কথা বলেই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।