শেরপুরে হরতালে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে শেরপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ৬ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫১ জন নেতাকর্মীকে।
সূত্রে জানা গেছে, বিকেলেই গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, “বিএনপির নিরীহ নেতাকর্মীদের বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে এসে তাদের নামে পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়েছে। আমরা এই হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
জানা যায়, শ্রীবরদী থানায় বিস্ফোরক আইনে ২ টি এবং শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী, নকল ও নালিতাবাড়ী থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার কুসুমহাটি রোজবার্গের সামনে থেকে ৬টি ককটেল উদ্ধার এবং ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
শ্রীবরদীর চৌরাস্তা ও সবজী বাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। এসম ২৭ জনকে আটক করা হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৬৯ জনকে স্বনামে এবং ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে এবং অনেকেই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৬০ জনকে স্বনামে এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
একই অভিযোগে নকলা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে এবং আরও অনেকেই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নকলা থানায় ৬৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ীতে জনগনের জানমালের ক্ষতি ও ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বোমা এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমায়েত হলে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় বিএনপির ৫ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় ৩৪ জনকে এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।