১. আমি এভাবেই চেয়েছিলাম তাকে
আমি অভিমানে চলে যেতেই সে যেন নাম ধরে ডাকে...
*
২. তোমায় দেখার অসুখ ছাড়া আমার আর তো অসুখ নেইতো
অসুখ শুনেই তুমি আসবে ছুটে, আঙ্গুলে ছুঁয়ে বুকের পাশে বসবে খানিক এইতো।
*
৩. বালিকা বলো তো, এভাবে চাও কেন আমায়?
তুমি জানো না, তুমিও ঘ্রাণ হয়ে মেখে থাকো আমার শরীরে ও জামায়!
*
৪. তোর বুকের একপাশে থৈ থৈ অভিশাপ, একপাশে আমি
বেছে নে রে পোড়ামুখী, তোর কে বেশি দামি?
*
৫. সবাই তো চলে যায়, যেতে হবে বলে চলেই
কেউ কেউ এতটা থেকে যায়, হয়তো পাব না বলেই!
*
৬. যে চলে যায়, সে চলে যায়- চোখের শিশিরেরা ভেজে ঘাসে
যে চলে যায়, সে-ই থেকে যায় বুকের দেওয়াল পাশে।
*
৭. কারও চোখে নীল কেন! কারও ঠোঁটে তিল কেন! কারও কালো এলোচুলে বকুল ফুলের ঘ্রাণ থাকে
কেউ কী আমাকে তার বুকে খুব নিকটে হৃদয়টাকে খুব রাখে!
*
৮. প্রেম যেন টবে সারিবদ্ধ কিছু ফুলের মতো
এত কাছে থেকেও তারা কখনো কাছে আসতে পারেনি, ছুঁতে পারেনি একে অপরকে, মিলিত হতে পারেনি পরস্পর!
যুগ-যুগান্তর আশ্চর্য দূরত্বে থেকে পুড়েছে তাদের মিলনের অঙ্গার।
*
৯. আমি যদি চলেই যাই, কিছু না বলেই যাই- একটুও বুঝি কাঁদবে না বুক ভাসবে না চোখ না পাবার সুখে!
একটুও কী ডাকবে না আমায়, রাখবে না আমায়, আঁকবে না আমায় তোমার কাছে, তোমার বুকে?
*
১০. আমার সাগর হতে এখন খুবই ইচ্ছে হয়
তবু কে যেন কে বুকের স্রোতে দিচ্ছে ভয়!
আমার খুবই ইচ্ছে হয়- তোমার ভেতর, তোমার মাঝে চুপটি করে লুকিয়ে থাকি
না হয় আমার পাঁজর খসা রক্ত দিয়ে ইচ্ছেমতোই তোমাকে রাঙায়, তোমাকে আঁকি!
*
১১. তুমি ভাবছো ভুলেই গেছি, ভুলেই আছি তোমাকে আমি- জল যেমন অনল ভুলে
তুমি আছো আরও বুকের ভেতর, আরও ম্যাজিক সুখের ভেতর- তিরতির অসহ্য বিরহের কপাট খুলে!
*
১২. আমি হেঁটে হেঁটে যতদূরেই যেতে থাকি, মনে হয় শুধু তোমার পানেই আসছি...
তুমি নেই, তবু কী ভীষণতর কেবল তোমায় ভালোবাসছি...
*
১৩. শোনো মেয়ে, আমার এ জন্মে একটিমাত্র কিচ্ছে আছে
তোমার বুকের মধ্যেখানে থাকবার খুব ইচ্ছে আছে।
*
১৪. শুধু তোমার পদধ্ববি শুনব ভেবেই শব্দ বেজে উঠলো না পৃথিবীর আর কোনো নুপুরে
তোমার কাছে আসব ভেবেও যাওয়া হলো না- প্রত্যহ সকাল গড়ালো দুপুরে!
*
১৫. তুমি দূর থেকে আরও দূরতিক্রম্য! তবু থেকে যাও এই বুকের কোথাও খুবই
তোমার জন্যই সকাল সন্ধ্যায় ফোটে এই হাসনাহেনা, আমি ওই সুরভিতেই ডুবি।
*
১৬. মারতে যদি হয় বিষ দিয়ে মারো, হৃদয় দিয়ে কেন!
হৃদয় হত্যার থেকে বেশি পাপ আত্মহত্যাতেও আছে কী?
*
১৭. চলো আবার একসাথে ভালোবেসে কাঁদি
যেমন করে ভরা নদীর কাছে পিপাসা কাঁদে!
অগোচরেই যেমন করে বলেছে হৃদয়
ভালোবাসা ভালোবেসে তবু কাছেতে বাঁধে।
*
১৮. বেশি কাছে আসতে নেই মেয়ে
বেশি কাছে আসলেই মনে হবে প্রেম ভালো বিরহের চেয়ে
কিন্তু আমি জানি, বিরহই লেখা আছে ভাগ্যে
প্রেম হৃদয়ের ওই আশ্চর্য অসুখেই সুখে থাক্ গে!
*
১৯. এই যে তুমি এমন তাকাও, কেমন বাঁকাও চোখ
এইটা বুঝি মিথ্যে পুরো! কিছুটা সত্য হোক
এই যে তুমি কাছে এলেই চলে যাবার ফাঁকি
যাবার আগে আমার বুকটাকে ছুঁয়ো, কতোটা তোমায় রাখি!
*
২০. ওখানে লুকিয়ে না মুখ
এই যে দেখছো হাড়, ভেতরে অদ্ভুত কী যেন পোড়ার গন্ধ- এখানে আমার বুক!
এখানে আজও `তুমি' নামের এক মহা অসুখ আছে
আমার পাঁজর ভাঙা ঠিক হৃৎপিণ্ডের কাছে...
*
২১. তোমার মুখে ভালোবাসি শব্দটি শোনার জন্য তোমার উদ্দেশে অনায়াসে এ জন্ম কাটিয়ে দিলাম হেঁটে
আরও কতো জন্ম গেল- শত সহস্র কোটি যৌবন গেলো কেটে
*
২২. মনে করো, আমি নেই; কাল থেকে আমাকে আর না গেলে কোথাও পাওয়া
তুমিও বুক পেরিয়ে, সুখ এড়িয়ে যেন আমারই ভেতর নিশ্চিত করো যাওয়া...
*
২৩. আমার এমন কষ্ট হচ্ছে কেন! মুক্তার বিরহে গুটিয়ে যাচ্ছি ঝিনুক
আমার কষ্টের অসুখ কেউ না দেখুক; অন্তত তোমার মন, তোমার ভেতর, তোমার বুকের ঘরের বারান্দা জানুক।
*
২৪. আমায় তোমায় ছাড়া একলা লাগে, বুকের ভেতর মেঘলা লাগে, দৈন্য লাগে, শূন্য লাগে ভীষণ রকম
ভেতর ভেতর অসুখ জাগে, হাড়কাঁপুনি বিসুখ জাগে, ক্ষত বাড়ে মাংস অদ্ভুত গভীর কোথাও দারুণ জখম!
২৫. আমার কিছুই থাকে না মনে
আমার দিবস যায়, নিশিথিনী পোহায় তোমার নিঃসঙ্গ আলিঙ্গনে!
*
২৬. প্রেমিক-প্রেমিকার বুকে গুজে রাখা সব অশ্বগন্ধা আর রজনীগন্ধা জানে
মানুষ মরে সবথেকে বেশি অবহেলায় আর নীরব অভিমানে!
*
২৭. প্রতিটা নারীর শরীরে অন্যরকম এক আলাদা পারফিউম আছে!
পুরুষ তার খোঁজ পায় না, কিন্তু প্রতিটা প্রেমিক সেই ঘ্রাণে আসক্ত হয়ে ওঠে।
*
২৮. তুমি কি আমায় ভালোবাসো?
শোনো তবে ভালোবাসলে এবার আর গোলাপ নয়, হৃদয় নিয়ে আসো।
*
২৯. আমায় ভালোবেসে তুমি কিছুই না পাও যদি!
ভুলবশত আমাদের প্রেম হয়ে যায় নিথর আর স্রোতহারা কোনো নদী!
তোমায় ভালোবেসে তবুও ছেড়ে দেবো অমরত্বের নেশা, বুকের সিংহাসন আর হৃৎপিণ্ডের সবটুকু গদি।
*
৩০. এতটা ভালোবেসো না মাধব; নিশ্চিত পুড়ে যাবে স্বপ্নে!
ভালোবাসা ছাড়া কী বেঁচে থাকে মানুষ? মানুষ বাঁচে তো প্রেম আর প্রিয় কোনো যত্নে।
*
৩১. মাঝেমধ্যে মনে হয় আমার হৃৎপিণ্ডের বাঁ পাশে শুধু তুমি ফুটে ওঠো! যেমন করে ওই হলদে বিকেলে কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে ফুটে ওঠে লাল
তুমি জানো না মেয়ে, আমি তোমায় ভেবে কেবল ফুল ছুঁয়েছি, বুকের কোটরে পাগলের মতো ওই ফুল গুজেছি অনাদিকাল...
*
৩২. তোমার কাছে আসব ভেবেই নিমিষে পাড়ি দিলাম হিমালয়, এভারেস্ট, সুউচ্চ পর্বতমালা
শুধু তোমায় ভালোবাসব ভেবেই আমার লাল হৃৎপিণ্ডে সাজালাম টকটকে কৃষ্ণচূড়ার মালা
তোমায় স্পর্শ করব ভেবেই আমার হাত এখনও ছুঁয়ে দেখেনি কোনো ফুল!
তুমি ফুটে আছে বুকে, তাই বুঝি এ জন্ম পবিত্র, আরও স্নিগ্ধ, শাশ্বত নির্ভুল।
*
৩৩. তুমি চেয়েছিলে ফুল, আমি ফুলের বেদনায় বুকের বাঁ পাশে রোপেছিলাম গাছ
আমার স্পন্দনে জ্বলে আছো তুমি, হৃৎপিণ্ডজুড়ে তোমার আঁচ!
*
৩৪. তুমি সহজে ভালোবাসলে আমি বুঝতাম না দুঃখ, যাতনা কাহারে কয়!
পরানের সহিত তবু তোমায় বেঁধেছি প্রিয়, বিষাদে করেছি জয়।
*
৩৫. তার থেকে তোমরা একা হও; এই কলঙ্কিত ধরাধামে একাই বাঁচে হিয়া!
একাই বাঁচে আসল প্রেমিকগুলো, একাই বাঁচো প্রিয়া।
*
৩৬. যেখানে ভালোবাসা নেই, বিধাতা সেখানে যেন কখনো না যাই আমি!
হাঁটতে হাঁটতে মেয়ে আমি যে শুধু তোমার দুয়ারে থামি।
*
৩৭. তোমার কাছে আসব ভেবে আমার আসা হলো না অল্পও
তোমায় ভালোবাসব ভেবে আমাদের কোনো স্মৃতি হলো না গল্পও
তোমায় দেখব দেখব ভেবে দেখাও হলো না জন্মই
তার চে' তুমি ফুল হয়ে যাও, আমি বরং সুবাসে হই তন্ময়।
*
৩৮. জানি, তুমিও মেয়ে বুকের ভেতর আজ একটা ঠিকই পুরুষ পোষো
হয়তো তোমার গল্পে পুরনো আমি, ব্যথা হয়েই তাই আমায় মোছো...
*
৩৯. ভালোবাসা ঠিক তোমার মতো; তোমার মতোই সুন্দর, শুভ্র এবং পষ্ট
ভালোবাসা ঠিক তোমার মতোই; বিরহপুষ্ট বেদনাক্লিষ্ট কষ্ট!
*
৪০. তুমি যেখানেই যাও, তোমার বুকের পাশে নিস্তব্ধ ঘাতকের মতো ঠিকই যাব রয়ে!
আমার এ দু'পা শুধু কোটি বছর ধরে তোমার পানে নীরবে গিয়েছে ধেয়ে...
*
৪১. তোমায় দেখব দেখব ভেবে তোমাকে আমার দেখা হলো না কিচ্ছুটি
তবু তোমার বুকের বাঁ পাশেই আমি! খেলছি ঠিকই খুনসুটি।
*
৪২. যতটা কাছে মিলিনি আমি, তারও অধিক তার কাছে সরে আসি!
যতটা বুঝিনি ব্যথা, ব্যথারও অধিক তারে ভালোবাসি!
*
৪৩. ভালোবাসা আবারও ফুল হয়ে বসুক, বুক অন্তত তোমার মতো ফুল ছোঁবে তো তবে!
তবু হয়তো সেই বুক আমার নই, তোমার কোনো বিখ্যাত প্রেমিকের হবে!
*
৪৪. প্রেম যেন সুতাবাঁধা ঘুড়ির মতো; সুতা কেটে সে-ও বাজায় বিষাদ ভায়োলিন মলিন কোনো বাতাসে...
আমাদের কেউ কেউ থাকে শুধু ব্যথা দেবার জন্যই বুকের বাঁ পাশে!
*
৪৫. তুমি আরও দূরে চলে যাও মেয়ে! বুকের বাঁ পাশে শুধু ঝুলিয়ে রাখো এই ‘আমি’
তোমায় খুঁজতেই এখনও যে প্রত্যহ এই ধূলিমাখা নির্দয় শহরের টকটকে তাজা হৃৎপিণ্ডের বুকে নামি...
*
৪৬. ভালোবাসতে দরকার শুধু একটি বিশ্বস্ত হাত, একটি বিশ্বস্ত ছায়া আর শরীর বাদেই প্রখর হৃদয় ছোঁবার বোধ
মেয়ে, আমার আকাশে এখম মেঘ জমেছে, হয়তো তোমার আকাশে রোদ!
*
৪৭. আমায় ভালোবেসে তুমি কিছুই না পাও যদি! ভুলবশত আমাদের প্রেম হয়ে যায় নিথর আর স্রোতহারা কোনো নদী!
তোমায় ভালোবেসে ছেড়ে দেবো অমরত্বের নেশা, বুকের সিংহাসন আর হৃৎপিণ্ডের সবটুকু গদি।
*
৪৮. তোমায় দিলেম সদ্য ফোটা রজনীগন্ধা; ওই গন্ধে তুমি ঘ্রাণের মতো ছড়াও...
প্রেম হয়ে এই প্রেমিকের হৃদযন্ত্রে তুমিই শুধু আষ্টেপৃষ্ঠে জড়াও।
*
৪৯. তুমি ভালোবাসলেই হবো কবি থেকে প্রেমিক, তুমি ভালোবাসলেই ভুলে যাব প্রলাপ
তুমি ছুঁয়ে দিলেই বুকে ফুটে যাবে ফুল, প্রেম হয়ে যাবে ‘গোলাপ'।
*
৫০. তোমার হৃদয় খুঁড়ে একিদন আমাকেই পুঁতে দেবো!
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।