যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প তিনটি হলো- আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
এ সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, তা আঞ্চলিক যোগাযোগ ও জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আরও যৌথ উদ্যোগ হবে এ ব্যপারে আমি আশাবাদী। প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে দেশের উন্নতি হয়, তা প্রমাণিত হয়েছে। এটি বিশ্বে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এ সময় নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত, বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে ভারতের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোদি।
মূলত, ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক প্রসার ঘটবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ও ভারত।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের ছাড়ের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২x৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।