সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, মধ্যনগর, বিশ^ম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্তে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের দৌড়াত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা সরকারের লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন পাচাঁর করছে কয়লা, পাথর, সুপারী, চিনি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, গরু, মহিষ, ছাগল, কাঠ ও কসমেটিকসহ নানান পন্য। এসবের বিনিময়ে আবার মাছ ও সবজিসহ নানান দ্রব্য সামগ্রী ভারতে পাচাঁর করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে- জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার অস্থায়ী থানা ভবনের সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ১২০বস্তা (৬ হাজার কেজি) ভারতীয় অবৈধ চিনি বোঝাই ২টি পিকআপ ভ্যান, ২টি প্রাইভেট কার ও নগদ ১৩ লাখ ১৪ হাজার ১০০টাকাসহ হবিগঞ্জ জেলার উমেদনগর গ্রামের অলিউর রহমান জুলহাস (৩০) ও জসিম উদ্দিন (২৮), এজেলার চুনারুঘাট উপজেলার শনখলা গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিব (২৯), একই উপজেলার দক্ষিণ হাতুন্ডা গ্রামের মামুন মিয়া (২২), সজিব হোসেন (২০), উত্তর সাংঘর গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩২), বানিয়াচং উপজেলার কালানজুরা গ্রামের আনহার মিয়া (২৫), সুনামগঞ্জ পৌরশহরের বড়পাড়া গ্রামের মাসুম মিয়া (২৪), এজেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মেরুয়াখলা গ্রামের আমীর হোসেন (২৭), একই গ্রামের আলাল মিয়া (২৪), শরিফ আহমেদ (২৫)কে আটক করাসহ দোয়ারাবাজারে অভিযান চালিয়ে ওই উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের শিপন নুর (২৫) কে ৯০পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে পৃথক ভাবে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তে সোর্স পরিচয়ধারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তে আবু বক্কর, আলমগীর, রফিকুল, টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তে ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, চারাগাঁও সীমান্তে রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, সাইফুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, বীরেন্দ্রনগর সীমান্তে লেংড়া জামালসহ নেকবর আলী ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ সিন্ডিকেড তৈরি করে দিনেরাতে অবাধে কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করার পর সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদাবাজি করলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।
তাদের নেতৃত্বে চোরাচালান করতে গিয়ে বালিয়াঘাট ও লাউড়গড় সীমান্তে চোরাই কয়লার গর্তে পড়ে ও যাদুকাটা নদীতে ডুবে গত ২ মাসে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত হয়েছে। তারপরও সোর্স ও তাদের গডফাদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। যার ফলে তাদের দাপট দিনদিন শুরু বেড়েই চলেছে বলে এলাকাবাসী জানান।
জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান ও দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান পৃথক অভিযানে অবৈধ মালামালসহ ১২জন চোরাকারবারী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- এব্যাপার থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।