মানিকগঞ্জের ঘিওর দৌলতপুর দুই উপজেলার জনগণের চলাচলের এ রাস্তাটির কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় এই দুটি উপজেলার প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজনের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ বন্ধ রেখে চলে যাওয়ায় এই অঞ্চলের লোকজনসহ স্কুল কলেজের শিক্ষাথীদের যাতায়াত ও ব্যবসায়ীদের পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঘিওর উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘিওর- কলিয়া জিসি ভায়া বাঙ্গালা প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তার জন্য ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যায়ে মের্সাস হোসাইন কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র মাটি এবং কিছু স্থানে খোয়া ফেলে কাজটি বন্ধ করে চলে যায়। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার কাজটি বন্ধ থাকার ফলে ২টি উপজেলার সাথে ১০-১৫ টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজনের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অপর দিকে এলাকার সাধারন ব্যবসায়ীদের পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানা খন্দের কারনে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে। ছোট খাট কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে অনেক কষ্ট করতে হয়। জরুরি রোগে আক্রান্ত কোন রোগিকে ঘিওর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুর্ভোগের সীমা থাকেনা।
বাঙ্গালা গ্রামের লোকমান, সাইফুল, সাইলকাই গ্রামের ফরিদ, নলকুরিয়া গ্রামের আরফান খানসহ অনেক লোকজন বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তা মেরামতের কাজটি বন্ধ থাকায় আমাদের গ্রামের লোকজনের চলাচলের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমরা জরুরী ভিত্তিত্বে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পয়লা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, ঘিওর দৌলতপুর ২টি উপজেলার সংযোগ সড়কটির কাজ শেষ হলে ২টি উপজেলার যোগাযোগের সহজ পথ হবে। এলাকার লোকজনের অনেক উপকার হবে। মের্সাস হোসাইন কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, প্রতিষ্ঠানটি রাস্তার কাজ বন্ধ রেখে চলে যাওয়ায় সংস্কার কাজটি থেমে আছে। তবে আমরা তার সাথে কথা বলেছি। এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিতকরা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেছি তারা দ্রুত কাজ ধরবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।