বিএনপির টানা অবরোধ ও হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি সিলেটে। সিলেটে প্রথম দিন কিছুটা প্রভাব পড়লেও দ্বিতীয় দিন থেকে পুরোধমে চলছে যান চালচাল, সাধারণ মানুষ ধরলের বিপক্ষে দাড়িয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ে সাধারণ মানুষ বর্তমানের এ হরতালের বিরোধীতা করছেন।
যদিও বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি বলছে- এটি তাদের ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলন। দাবি গুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে- শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। যদিও অবরোধ ডেকে ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলনের খুব একটা মাঠে নেই দলের নেতাকর্মীরা।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে আয়োজিত মহাসমাবেশ শেষ করতে না পেরে পর দিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। পরে দেয় ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের টানা অবরোধের ডাক। কিছুটা উত্তপ্ততার মধ্য দিয়ে ওই তিন দিনের অবরোধ হয়েছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে।
তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা গতকাল রবিবার থেকে ৪৮ ঘন্টার অবরোধ-কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আজ সে কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে জামায়াতও অবরোধ পালন করছে।
দ্বিতীয় দফা অবরোধের দ্বিতীয় বা শেষ দিনে সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে- সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, পণ্যবাহী যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল শুরু করছে।
দক্ষিণ সুরমায় সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়- দূরপাল্লার বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে চলাচল শুরু করেছে আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে বাস। এছাড়া দেদারছে চলছে ছোট গাড়ি গুলো সিএনজি ও প্রাইভেট গাড়ি। তবে রাস্তার দিকে তাকালে হরতাল নেই বললে চলে, অন্যদিনের চেয়েও ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের এ অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে অন্যান্য দিনের মতো আজও মাঠে রয়েছে পুলিশ, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। ভোর থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।
চলাচল বা পণ্য পরিবহনে কোথাও বাধা দেওয়া হলে অথবা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করবে বিজিবি। বিশেষ করে মহাসড়ক ও রেলপথের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। নিয়মিত টহল দিচ্ছে র্যাব-৯।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ (বিপিএম-বার, পিপিএম) বলেন- জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছি। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত সিলেটে বড় ধরইেরনর কোনো ঘটনা ঘটেনি। জনসাধারণের প্রতি আমাদের আহ্বান- আতঙ্কিত বা উদ্বীগ্ন না হয়ে প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবে কাজ কর্মের জন্য আপনারা ঘর থেকে বের হন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।