মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিধুনগর গ্রামের মো: লাবলু মিয়ার ভাড়া বাড়িতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে কাঁচা গোল্লা ও মিল্ক টফি নামের শিশুদের জন্য তৈরী বিশেষ চকলেট। কোন লেভেল ছাড়াই বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব নকল শিশুতোষ খাদ্য পণ্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লাইসেন্স বা বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ খাদ্য তৈরীর কারখানা। লাভলু নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী নকল মড়কে তৈরী করছে বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় শিশু খাদ্য সামগ্রী।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাভলু ও তার শাশুড়ি রেহেনা মিলে নকল চকলেট ও কাচা গোল্লা বাজারজাত করার জন্য প্যাকেট জাত করছে। পাশেই ড্রামের ভিতর দেখা যায় পচা, মাছি ও মশা পিপড়া যুক্ত চিনির ছাকরা ছাঁটা। নিন্ম মানের চিনিসহ পচা দ্রবদিয়ে শিশু খাদ্য তৈরীর কথা লাভলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেয়নি।
শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, ক্ষতিকর নকল খাদ্য পণ্য তৈরীর এই কারখানাটি, সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে পয়লা ইউনিয়নের সিধুনগর গ্রামে গড়ে উঠেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রকে হাত করে অবৈধ খাদ্য দ্রব্য তৈরীর কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিধুনগর গ্রামের বাসিন্দা বলেন- নোংরা পরিবেশে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে এই নকল শিশু খাদ্য বিক্রি করছে লাভলু।
উপজেলা স্যানেটরী পরির্দশক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন- বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে দ্রুত কারখানা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘিওর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:আমিনুর রহমান বলেন- দ্রুত পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, কোন অন্যায় কাজকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না। যে কোন সময় ব্যবস্থা নিবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।