বাংলাদেশ যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তার জন্য দরকার স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট কানেক্টিভিটি। আর এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম অর্জন করার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত হয় স্মার্ট নাকুগাঁও স্থলবন্দর উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে নাকুগাঁও স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। বন্দরটি জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এই বন্দরকে ট্রান্স এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করতে হলে বন্দর পর্যন্ত ৮ লেন সড়ক বাস্তবায়ন করতে হবে। মেঘালয়, আসাম ও ভুটানের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা তুলে ধরতে হবে এবং আমদানির যে সীমাবদ্ধতা আছে তা দূর করতে হবে। আগামী মাসের ৭ তারিখে এশিয়া কানেক্টিভিটির বৈঠক রয়েছে আসামে। সেখানে শেরপুর জেলার নাকুগাঁও নিয়ে আপনাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরার চেষ্টা করব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনী, শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান সম্রাট। সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অতিরিক্ত সচিব দিলদার আহমেদ বলেন, স্মার্ট স্থলবন্দর বিনির্মাণের জন্য ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তার মধ্যে অন্যতম স্মার্ট ব্যাংকিং সেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা বন্দর এলাকায় তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনীয় লোকবল ও ভৌত অবকাঠামো সংস্কারসহ লোকবল বৃদ্ধি করা এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা, হোটেল-মোটেলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।