দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৪০ জন পদধারী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ প্রার্থী নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্যরা শিগগিরই মনোনয়নপত্র নেবেন বলে জানিয়েছেন। তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার নাগাদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা দুই শ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন ফরিদপুর-১ আসনে কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. আরিফুর রহমান দোলন।ফরিদপুর-২ আসনে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জামাল হোসেন মিয়া, ফরিদপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ এবং ফরিদপুর-৪ আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী এমপি।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।নেত্রকোনা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
ঢাকার ২০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৪
ঢাকার ২০টি আসনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মোট ১৭৪টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আগ্রহীরা। তাঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৪৪ জন। গতকাল মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ১৯ জন প্রার্থী। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঢাকা-১৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ এবং আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
সারাদেশে আরো স্বতন্ত্র প্রার্থী
সারাদেশ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, আওয়ামী লীগের ১৪০ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। তবে নির্বাচন কমিশন এখনো প্রার্থীদের কোনো সংখ্যা প্রকাশ করেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন—জয়পুরহাট-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্লা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম। জয়পুরহাট-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর।
ময়মনসিংহ-৯ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন এবং ময়মনসিংহ-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নাজনীন আলম। মৌলভীবাজার-২ আসনে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সালমান।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক জিপু চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল মল্লিক, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবু হাশেম রেজা ও সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা।
বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ সদস্য মো. তবিবর রহমান, বগুড়া-৩ আসনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ, বগুড়া-৪ আসনে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোশফিকুর রহমান, বগুড়া-৬ আসনে শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান এবং বগুড়া-৭ আসনে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিনেওয়াজ খান।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমদ ও আওয়ামী লীগ নেতা বিনয় ভূষণ তালুকদার, সুনামগঞ্জ-২ আসনে এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তা ও যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগ নেতা ড. শামসুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে কাজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা তালুকদার মধু ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম খন্দকার, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাকোওয়াত হোসেন সুইট ও রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম দুলাল এবং সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাজেদুল।
হবিগঞ্জ-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান। শরীয়তপুর-২ আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত। মানিকগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এসএম জাহিদ)।
নেত্রকোনা-২ আসনে সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান, নেত্রকোনা-৩ আসনে মঞ্জুর কাদের কোরাইশী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক আব্দুল মতিন, নেত্রকোনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক শফি আহমেদ এবং নেত্রকোনা-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তুহিন আহমেদ খান। ভোলা-১ আসনে যুবলীগের নির্বাহী সদস্য আশিকুর রহমান শান্ত ও ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জসিম উদ্দিন।
যশোর-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হাসান, যশোর-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান, যশোর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আমজাদ হোসেন লাবলু এবং যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম, কাজী রফিকুল ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম ও এইচ এম আমীর হোসেন।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, কিশোরগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মো. গোলাম কবির ভূঁইয়া এবং কিশোরগঞ্জ-৫ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ছৈয়দুল মোস্তাফা চৌধুরী রাজু ও সদস্য আব্দুল্লাহ কবির লিটন। কুমিল্লা-৪ আসনে কুমিল্লা উত্তর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। পটুয়াখালী-৩ আসনে বিজিবির সাবেক প্রধান আবুল হোসেন ও পটুয়াখালী-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুলতান আহম্মেদ মৃধা।
সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট-৫ আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির এবং সিলেট-৬ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সারোয়ার হোসেন।
রাজশাহী-৫ আসনে জেলা যুবলীগের সাবেক সহভাপতি ওবায়দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ, জেলা যুবলীগের সাবেক সহভাপতি ওবাইদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ।
পাবনা-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, পাবনা-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার, পাবনা-৪ আসনে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল আলীম এবং পাবনা-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য মো. ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুজ্জামান দোলন।
ঝিনাইদহ-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস, ঝিনাইদহ-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, ঝিনাইদহ-৪ আসনে বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ খোকন এবং ঝিনাইদহ-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুল আজম খান চঞ্চল, সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আনিচুর রহমান টিপু।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।