মিয়ানমারের সাবেক নেতা অং সান সুচিতে ক্ষমা করেছে দেশটি জান্তা সরকার। অসংখ্য অপরাধের মধ্যে ৫ অপরাধে তাকে ৩৩ বছরের সাজা দিয়েছিল সামরিক সরকার। খবর রয়টার্সের রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার নোবেল জয়ী অং সান সুচিকে গত সপ্তাহে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি তার বাসভবনে রয়েছেন।
২০২১ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সুচিকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতি করে জয়ী হওয়ার অভিযোগ এবং দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আনা হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুচি।
মঙ্গলবার দেশটির রেডিও এবং টেলিভিশনে তার মুক্তির খবর প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু ভিন্ন এক সূত্র জানায়, তাকে আটক রাখা হবে। তার বাসভনেই তিনি আটক থাকবেন। নিরাপত্তার জন্য সূত্রের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী নেতার মেয়ে সুচি। এর আগে ১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর আইনের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হন সুচি।
মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় ১৯৯১ সালে অং সান সুচি নোবেল পুরস্কার পান। ২০১০ সালে সুচিত পুরোপুরি মুক্তি দেয় জান্তা সরকার। এরপর ২০১৫ সালে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে জয় পায় সুচির দল। কিন্তু কয়েক বছর সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পালনের পর ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে দেশটির সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।