আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় মানিকগঞ্জের ঘিওরে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়ছে পুরাতন কাপড়ের দোকানে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের কাপড় কেনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের বেচাকেনা। এর আগের বছর এসব দোকানে পৌষ থেকে বেচাকেনা পুরোদমে আরম্ভ হলেও এ বছর শীতের মধ্যভাগে থেকে ক্রেতার পুরান কাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে।
প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাটে রাস্তার পাশের দোকানে শীতের শুরুতে এ বছরও প্রচুর শীতের কাপড় নিয়ে এসেছে মওসুমি কাপড় ব্যবাসায়ীরা। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের গরম কাপড় কিনতে ভীড় করছেন। একের পর এক কাপড় গায়ে দিয়ে পছন্দ করছেন ক্রেতারা। কাপড় পছন্দ হলে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে শুরু হয় দর কষাকষি। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এসব কমদামের কাপড় দিয়ে শীত মৌসুম পার করতে চাইছেন।
শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা আবু হানিফ ও ছালাম মিয়া জানান, ঠান্ডা পড়ায় শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। এসব দোকানে সাধ্যের ভেতর অনেক ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। নতুন কাপড়ের দোকানে শীতের কাপড়ের দাম একটু বেশি। কিন্তু পুরাতন কাপড়ের দোকানে কম মূল্যে তা পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালে।
কাপড় বিক্রেতা জয়নাল মিয়া জানান, গত বছরের চেয়ে এবার পুরনো কাপরের দাম বেশি। এর আগের থেকে প্রতিটি গাইটে গড়ে আড়াই থেকে চার হাজার টাকা পর্য়ন্ত দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করার কারনে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। বেশি দামে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতারাও কিনতে চায় না। আবার যাদের কাছ থেকে পুরোনো কাপড় ক্রয় করেন তারা প্রত্যেকটা গাইট খুলে আগেই ভালো কাপড় গুলো রেখে দেয়। বুজে উঠতে পারছেন না এ বছর কিভাবে ব্যাবসা করবে?
প্রতি বছরের মতো এ বছর বেশি দামে ক্রয় করলেও বিক্রি হচ্ছে কম। এ নিয়ে হতাশার মধ্যে আছেন তারা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।