আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রচণ্ড শীতে যখন সারাদেশ কাঁপছে, কষ্ট পাচ্ছে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ। মানিকগঞ্জের ঘিওরেও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
প্রচন্ড ঠান্ডার সাথে শৈত্য প্রবাহের কারণে নদী পাড়ের বাসিন্দা, ছিন্নমূল ও কর্মজীবী মানুষের জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বেড়েছে শীতবস্ত্র কেনা বেচার। শুক্রবার বিকেলের দিকে মানিকগঞ্জের ঘিওর পঞ্চ রাস্তা এলাকায় দেখা যায় ওখানকার ব্যবসায়ী ও পথচারীরা শৈত্য প্রবাহে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
ঘিওর বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ আবির হোসেন বলেন, সকাল থেকেই গাড়িতে আলু লোড করে ঢাকার মহাজনদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। দিনমজুর শ্রমিকেরা সকাল থেকেই কাজে যুক্ত হন। তীব্র শীতের কারণে তাদের কাজ করতে সমস্যা হয়। এছাড়াও কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঘনকুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের সবজি খেত, সরিষার ক্ষতি হবার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সরজমিন দেখা যায়, ছিন্নমূল মানুষেরা শৈত্যপ্রবাহে রাস্তার মোড়ে মোড়ে হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে শীত মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার সরকারি আবাসনে বসবাসকারী, দুস্থ -অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষদের দেয়া হচ্ছে শীতবস্ত্র কম্বল।
ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব আহসান বলেন, শীতের মৌসুমে বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে ঠান্ডাজনিত রোগ, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে।
এ সময় শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। পান করতে হবে বিশুদ্ধ পানি। যতটুকু সম্ভব গরম কাপড় পড়ে ঘরে অবস্থান করতে হবে। বিশেষ কোন দরকার ছাড়া কুয়াশা ও শীতের মধ্যে বাহিরে না যাওয়াই শ্রেয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই বার্তা বাইরে বের হওয়ার সময় গরম কাপড় ও মাস্ক পড়ে বের হতে হবে। ঠান্ডা জনিত রোগ শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।