আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওর গরু হাট সংলগ্ন ইছামতি শাখা নদীতে এবারও নৌকা ডুবি ঘটেছে। আজ বুধবার ৯ আগস্ট দুপুরে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক দেড় লক্ষাধিক পরিমাণ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
তাদের দাবী নৌকায় প্রায় তিন লক্ষ টাকার জিনিসপত্র ছিল। ঘিওর বুধবার হাট থেকে দরজা, জানালা, চাউল, ডাউল সহ সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি ছিল। তারা আরো জানান, ঘিওর উপজেলার ঠাকুরকান্দি এতিম খানা ও মাদ্রাসায় তাদের ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করে। মাদ্রাসা ছুটির ইত্যবসরে তাদের ঐ স্যালো মেশিন নৌকায় ছয়জন শিক্ষার্থী সহ মোট ১৭ জন লোক ছিল।
ঘিওর হাট থেকে বাজার করে শিক্ষার্থীদেরকে সহ তারা স্যালো মেশিন নৌকা যোগে দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা রওয়ানা হয়। এমন সময় প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি ব্রীজের মাঝখানের পীলারের সাথে স্বজোড়ে আঘাত প্রাপ্ত হলে নৌকা উল্টে গিয়ে এ দূর্ঘটনার শিকার হন তারা। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে যাত্রীসহ কিছু মালামাল উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছর একইভাবে একই জায়গায় কোরবানীর ঈদের আগে চরকাটারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গরু বোঝাই একটি ট্রলার স্যালো মেশিন নৌকা ডুবি ঘটেছিল। এবারও সেই ব্রীজের সেই পীলারের সাথে একই দূর্ঘটনা ঘটো। এতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অনেকেই আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তবে কোন প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি।
ঘিওর ইছামতি নদী শাখার গরু হাটা এলাকায় খাল কাজের কারণে গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের ঘরবাড়ি সহ গরু হাটের সিংহভাগ ঐ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙ্গন কবলিত ঐ স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি ও ধীর গতিতে কাজের কারণে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন বলেও স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান। তিনি জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে জরুরী কাজে বাইরে থাকার কারণে তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।