আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জে অবৈধ মাটি বাণিজ্যের অভিযোগে ভেকু চালক সজিব মিয়াকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশারের তত্বাবধানে একটি চক্র মাটি বাণিজ্য করে আসছিল।
সোমবার দুপুরে শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মোনাইলের চকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন। কয়েকদিন আগেও এ চক্রটির বিরুদ্ধে ঘিওর উপজেলার জোকার চকে মাটি বাণিজ্যের অভিযোগে জরিমানা করেছিল উপজেলা প্রশাসন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, মোনাইলের চকে বেশ কয়েকদিন ধরে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এসময় মূল হোতারা পালিয়ে গেলেও ভেকু চালককে কৌশলে ধরে ফেলেন অভিযানের এক সদস্য। ইউএনওর জিজ্ঞাসাবাদে নিজের ১৮বছর হয়েছে দাবি করে ভেকু চালক সজীব জানায়, মাটির এ সাইট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশারের। ম্যানেজার কিবরিয়ার মাধ্যমে বাশারের সাইটে ভেকু চালাতে এসেছেন তিনি। ভেকুটিও কিবরিয়ার বলে জানান তিনি। পরে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাটিখেকো চক্রটি বেশ কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে মাটি বাণিজ্য করে আসছিল। আবুল বাশারের নেতৃত্বে রুবেল, তপু, আওয়াল, মাসুমসহ স্থানীয় একটি চক্র এতে জড়িত বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
স্থানীয় একাধিক লোক জানান, রাতভর পাকা সড়ক ব্যবহার করে মাটি বাণিজ্য করে চক্রটি। এতে কয়েকদিন ধরে রাতে ঘুমানো কষ্টকর হয়ে গেছে। ড্রাম ট্রাকের বিকট শব্দে বাচ্চাকাচ্চাও ঘুমাতে পারছে না।
মোনাইল চকে জমি আছে এমন পাঁচজন লোকের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানান, যেভাবে ভূমিদস্যুরা মাটিকাটা শুরু করেছে। তাতে কয়েক বছর পর এখানে শুধু পুকুর আর ডোবা নালা থাকবে। ফসলি জমি খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন বলেন, মাটি বাণিজ্যের অভিযোগে ভেকু চালক সজীবকে জরিমানা করা হয়েছে। মূল হোতাদের পাওয়া যায়নি। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।