কিশোর কুমার দত্ত, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: প্রথম ধাপে লক্ষ্মীপুরে রামগতি-কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার ভোট গ্রহণের শেষ পর্যায়ে এসে রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের মধ্য চর আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রামগতি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দোয়াত কলম প্রতীকের আব্দুল ওয়াহেদ এর সমর্থক ও কাপ-পিরিছ প্রতীকের সরাব উদ্দিন আজাদ সোহেল সমর্থকদের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৩০-৪০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এতে শহীদ, আশ্রাফুল, নুর উদ্দিন, শাহজান, বাবলু, আবুল বাশারসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, কাপ পিরিচ প্রতীকের সমর্থক ফেরদৌস মেম্বার ও রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা (মারধর) চালিয়ে তাদের আহত করা হয়েছে। তবে এব্যাপারে জানতে তার প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থী সরাব উদ্দিন আজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো: সাঈদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রের বাহিরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে রামগতি থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন রক্তাক্তসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এদিকে কমলনগরের চর জাঙ্গালিয়া হাজি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার মেহেদী হাসানকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া অন্য সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত কমলনগরে ২৫ পার্সেন্ট ও রামগতিতে ২৩ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।