কিশোর কুমার দত্ত, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির এক মাস পর লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়ীতে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন সেই 'এমভি আব্দুল্লাহ' নামক জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান। তাকে পেয়ে স্বজনরা এখন আনন্দে আত্বহারা হয়ে উঠেছেন। ঈদের আনন্দে মলিন থাকলেও এখন সেই আনন্দের চাইতে আরো মহাখুশি পরিবারটি। ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সেই নাবিক।
জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে 'এমভি আব্দুল্লাহ' নামক জাহাজের ২৩ নাবিক জিম্মি হওয়ার পর অবশেষে এক মাস আগে মুক্তি পেলেও মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন তারা। এসব নাবিকের একজন হলেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান। রাতেই বাড়ী ফিরেছেন তিনি। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সুস্থভাবে তার বাড়ী ফেরার ঘটনায় এখন মহা-খুশি পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।
আইয়ুব জানান, ১২ মার্চ হঠাৎ জাহাজে আক্রমন করে দস্যুরা (প্রথমে ১৩ জন ও পরে আরো বাড়ে দস্যুর সংখ্যা)। এসময় সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণ দাবী করে। সবার কাছ থেকে মুঠোঢোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এসময় এক রুমে সবাইকে জিম্মি রেখে নোংরা পরিবেশে নির্যাতন করতো দস্যুরা। পুরো সময় ভয় উৎকন্ঠায় ছিলাম। পরে মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল রাত ১২ টা ৮ মিনেটে আমাদের ছেড়ে দেয় তারা (যা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হয়)। এসময় নৌ বাহিনীর স্কটে হাই রিস্ক এরিয়া পার করে দেয়। পরে ডুবাই হয়ে দেশে ফিরেন বলে জানান। দেশবাসীর দোয়ায় সুস্থভাবে ফিরে এখন অনেক উচ্ছাসিত জানিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ নাবিক।
এদিকে সন্তানকে ফিরে ফেয়ে মহা-খুশি তার মা হুমায়ারা বেগম। তিনি বলেন, খানাপিনা ছেড়ে কান্নাকাটিতে ছিলাম, আল্লাহর কাছে শুধু একটাই চাওয়া ছিল আমার বাবাকে সুস্থভাবে আমার কোলে ফিরিয়ে দন। এখন খুব খুশি লাগছে বলে জানান।
তার বড় ভাইসহ স্বজনরা বলছেন, আইয়ুবকে ছাড়া ঈদের আনন্দ ছিলনা পরিবারে। এখন এর চাইতে বেশী আনন্দ লাগছে। এলাকাবাসী বলছেন, ভয়কে জয় করে নতুন উদ্যমে দেশ সেবায় নিয়োজিত থাকবেন আইয়ুবসহ সবাই এ প্রত্যাশা তাদের।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।