লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরও রামগঞ্জে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় এসেও চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। স্থানীয় এমপিদের স্বজন ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন এমপির আশীর্বাদের প্রার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। রায়পুর শহরের একটি ভাষায় আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বিরুদ্ধে তার ভগ্নিপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ (আনারস প্রতীক) এর পক্ষ নিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধিলঙ্গনসহ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলেন। আনারস জেতাতে টিআর- কাবিখা প্রকল্পের লোভ দেখানো হচ্ছে জানিয়ে এমন অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এ প্রার্থী।
এদিকে এর কিছুক্ষণ পর পৃথক স্থানে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে ব্রিফিং করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী পাল্টা অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদব্যক্ত করে এমপিকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্যের জন্য নির্বাচনের পরে খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এপরদিকে একই অভিযোগ রয়েছে রামগঞ্জ আসনের এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের ইমতিয়াজ আরাফাতসহ তিনজন প্রার্থীর একই অভিযোগ। এসব প্রার্থী অভিযোগ করেন এমপির পছন্দের প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের দেওয়ান হোসেন বাচ্চুর পক্ষে অবস্থান নেন এমপি। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান। এসব ঘটনায় সাধারণ ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ থাকলে কেন্দ্রীয় গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা জানান অনেকে। আবার অনেকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার কথা জানান।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ জানান, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। নির্বাচনে আইন অমান্য করলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এক্ষেত্রে আইন অমান্য কারী বেশি সংখ্যক হলেও এক থানায় জায়গা না হলে অন্য থানায় হস্তান্তরের করা সতর্কবার্তা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত : লক্ষীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদের বিপরীতে মোট ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৯৬ জন। ১৮১টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।