খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের কুমিল্লাটিলা নামক এলাকায় পারভিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২৫ মে) রাতে গৃহবধূ পারভিন আক্তারের বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যাকারী পারভিন কুমিল্লাটিলার স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে ও একই ইউনিয়নের দেওয়ান পাড়া এলাকার বাসিন্দা মনির আহাম্মদের ছেলে আইয়ুব নবীর স্ত্রী।
নিহত পারভীন আক্তারের স্বামী আইয়ুব নবী জানান,দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়, এ দেড়বছর বৈবাহিক জীবনে তাদের কোন সন্তান নাই। শুক্রবার রাতেও আমার সাথে মেসেজে কথা হয়েছে। সব সময় তো বাড়িতে যেতে পারিনা, নিজের পেশাদারিত্বের কারণে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় অবস্থান করতে হয়।
আমার স্ত্রীর সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। তবে কি কারনে বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে সেটা আমি জানি না।
নিহতের মা খাদিজা আক্তার জানান , আমার মেয়ে তো ভালো ছিলো, তার বাবাকে বাজারে যাওয়ার জন্য লাইট দিয়ে যায় তার রুমে সন্ধ্যার সময়। রাতে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলেও সে আর দরজা খুলছেনা। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় আমার সন্দেহ হয়,মনের মধ্যে ভয় কাজ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জানালা ভেঙ্গে দেখি পারভিন গলায় ফাঁস দেয়া। তখন তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে বলে জানান।
তবলছড়ি ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হাসেম জানান, গত ২০২৩ সালের প্রথম দিকে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিক বিষয় নিয়ে কিছুদিন পূর্বে ঝামেলা হয়। একারনে স্বামীর কর্মস্থলে নিয়ে যান পারভীনকে। এর কয়েকদিন পর তার স্বামী বাবার বাড়িতে রেখে যায় গত রাতে হঠাৎ জানতে পারি পারভিন তার বাবার বাড়িতে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ কমল কৃঞ্চ ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান , খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।