নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলাধীন আকবরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহতাব হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। আবেদন গ্রহন শেষে গত ২৬ এপ্রিল প্রার্থীদের পরীক্ষা গ্রহন করা হয়। যাতে করে নৈশ প্রহরী পদে প্রথম হন সোহাগ রানা, অফিস সহায়ক পদে রাসেল হোসেন প্রথম ও দ্বিতীয় হন আরাফাত হোসেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে প্রথম হন সোলাইমান, নিরাপত্তা কর্মী পদে প্রথম হন শুভ টপ্য, দ্বিতীয় হন রাফি হোসেন, অফিস সহায়ক কাম হিসাব সহকারী পদে প্রথম হন সিফাতুল্লাহ। এই ফলাফল ঘোষণা হবার পর সভাপতি মাহতাব হোসেন রেজাল্ট শীট জনসম্মুখে প্রকাশ না করে রেজাল্ট পরিবর্তন করে নিজ নাতিকে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে পদায়ন করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। যার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে নেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রার্থীর কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করছেন একটি মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, সভাপতি "মাহতাব হোসেনের নাতি শহিদুজ্জামান লিখিত পরীক্ষায় নকল করে পাশ করার চেষ্টা করে। সে কিভাবে ওই পদের জন্য যোগ্য হতে পারে"
এ বিষয়ে সভাপতি মাহতাব হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন "আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। সময় হলে নিয়োগ দেওয়া হবে"। আকবরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রদান করা হোক এমনটাই আশাবাদী স্থানীয় জনগণ।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, সহ-সম্পাদক: সুব্রত দেবনাথ, নির্বাহী সম্পাদক : জায়েদ হোসাইন লাকী, বার্তা সম্পাদক : শহীদুর রহমান জুয়েল। ঢাকা-১২৩০ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।