মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রতিপক্ষের মারধরে মো: স্বপন মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষক খুনের ঘটনা ঘটেছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খুন হয় স্বপন।
উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের গোলাপনগর এলাকার মৃত গাজী মিয়ার ছেলে স্বপন। বুধবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত স্বপনের মরদেহ এলাকায় নিয়ে আসলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘিওর সদর ইউনিয়নের গোলাপনগর এলাকায় প্রতিবেশী বিল্লাল মোল্লা গংদের মারধরে গুরুতর আহত হন স্বপন। পরে তার স্বজনেরা গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা আরো গুরুতর হলে রাগ ৯ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক স্বপনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই মো. সুজন মিয়া বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী বিল্লাল মোল্লা ও তার ভাই রফিক মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়ভাবে বসে সেই বিরোধের বিষয়টি সমাধানও হয়। যার ফলশ্রুতিতে মঙ্গলবার স্বপনের জমি ভরাট করে দেওয়ার কথা বিল্লাল ও রফিক মোল্লার। তারা ওই জমি ভরাটের সময় মাটির পরিবর্তে ময়লা আবর্জনা ব্যবহার করতে শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হলে স্বপনের উপর হামলা করে বিল্লাল ও রফিক।
এসময় কোদাল দিয়ে স্বপনের মাথায় আঘাত করলে গুরুতরভাবে আহত হয় স্বপন। এই ঘটনার বিচার দাবি করেন সুজন।
নিহতের ছোট ভাই ইমরান মিয়া বলেন, বিল্লাল ও রফিক আমার ভাইকে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ওমর ফারুক বলেন, মাথায় আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে স্বপনের। হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় স্বপন নামের এক কৃষক মারা গেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
