চলতি বছর মে মাসে খবর আসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন জিম্বাবুয়ের কিংবদিন্ত ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। তখন জানা গিয়েছিল অলৌকিক কিছু না ঘটলে কার্যত তার বাঁচা কঠিন।
সত্য হলো সেই খবর। মৃত্যুর কাছে হার মেনে না ফেরা দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ক্যানসার নামক অসুখে নিভে গেল তার জীবনপ্রদীপ।
১৯৭৪ সালের ১৬ মার্চ জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে জন্মগ্রহণ করেন হিথ হিল্টন স্ট্রিক। জিম্বাবুয়ের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেওয়া এই পেসার মূলত কোলন এবং যকৃতের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
১৯৯৩ সালে ১০ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের জার্সিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হিথ স্ট্রিকের। এর পরে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিম্বাবুয়ের হয়েছে খেলেছেন ১৮৯ ওয়ানডে এবং ৬৫ টেস্ট।
টেস্টে ১৯৯০ রান এবং ২১৬টি উইকেট রয়েছে তার। আর সাদা বলের ক্রিকেটে ২৯৪৩ রান এবং ২৩৯টি উইকেট রয়েছে। ২০০৫-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। জিম্বাবুয়েকে ২১টি টেস্ট এবং ৬৮টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিং পেশাতেও বেশ সফল ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন স্টিক। আর ২০১৪ সালে দায়িত্ব পান বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচের। তার দুই বছরের দায়িত্বকালে বেশ উন্নতি করে টাইগার পেসাররা।
২০২১ সালে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি তবে সর্বদা এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। বরাবরই পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে স্বর্ণযুগ ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল। সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন স্ট্রিক।
তিনিই জিম্বাবুয়ের একমাত্র বোলার, যার টেস্টে ১০০-র ওপর উইকেট রয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের চতুর্থ বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট শিকারের কীর্তি রয়েছে তার।
এ ছাড়া দেশটির একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১ হাজার রান ও ১০০ এবং ওয়ানডেতে ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেট রয়েছে স্ট্রিকের। তার মৃত্যুতে শেষ হলো জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের একটি অধ্যায়।