মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পুরাতন ধলেশ্বরী পাড়ের মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে ভাঙন আতংক। এরমধ্যেই উপজেলা সদরের নদীর উত্তর পাড়ে ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ৩শ গজ দূরে ও ঘিওর সরকারি কলেজ সংলগ্ন ব্রীজের পাশে প্রকাশ্যে ভোলগেট দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রথমে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে, এখন নদী থেকে কাটার মেশিন দিয়ে ড্রেজিং করে মাটি উঠিয়ে ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করার পায়তারা করছে। এতে ভাঙন আরো ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা।
পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর ঘিওর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা তার প্রভাব খাটিয়ে ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের পাশ থেকে শুকনো মৌশুমে নদীর বালু উত্তোলন করে আসছে। যে কারনে নদীর ঐ অংশের পার্শ্ববর্তী একটি পাড়ার ১৫-২০টি পরিবার হুমকির মধ্যে পরেছে। বর্ষা মৌশুমে নদীর স্রোতের কারনে ছোট ছোট ড্রেজারগুলি বন্ধ হয়ে গেছে।
এরমধ্যে মানিকগঞ্জের একজন প্রভাবশালী নেতা উপজেলা সদরের ঘিওর নদীর উত্তরপাড়ে প্রকাশ্যে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গাসহ অন্যান্য জায়গা মিলিয়ে মাটি বিক্রির পড়ে ঐ স্থানে বেড বানিয়ে নদী থেকে কাটার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে সারা বর্ষা মৌসুম মাটি বিক্রি করার পায়তারা চলছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, পশ্চিম দিকে একটি মসজিদ, কবরস্থান, পূর্বদিকে ঘিওর দৌলতপুর রাস্তার পুরাতন অংশ, দক্ষিণদিকে পুরাতন ধলেশ্বরী নদী ও উত্তরদিকে কৃষি জমি ও বসতবাড়ি। এই চৌহদ্দীতে ভেকু দিয়ে কিছু মাটি কেটে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং কিছু মাটি দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়েছে। পাশে বিশাল সাইজের বড় ড্রেজারের বিশাল পাইপের স্তুপ। এমন ভাবে মাটি কাটা হয়েছে যদি, এখনই ঐ স্থানে ভরাট করা না হয়, তবে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই মসজিদ, কবরস্থান, ঘিওর- দৌলতপুর রাস্তা ভেঙ্গে নদীর সাথে বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হামিদুর রহমান বলেন- ইজারাকৃত অংশ থেকে শুধুমাত্র ভেকু ও বেলছা দিয়ে মাটি উত্তোলন করা যাবে। ড্রেজিং করার কোন সুযোগ নেই। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।