ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। দলের ক্রিকেটাররা রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। তাতে প্রতিপক্ষকে একটা বাড়তি চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে হয়। তেমনই হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রেও। তবে সবশেষ ম্যাচে দুর্দান্ত জয় নিয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) খেলা শুরুর আগে বিকেল ৩টায় টসের জন্য মাঠে নামেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। সেখানে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। বাংলাদেশের একাদশে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। চোটের কারণে তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তার বদলে একাদশে জায়গা হয়েছে লিটন দাসের। এছাড়া দলে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
ম্যাচটি শুরুর একদিন আগেই নিজেদের একাদশ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ফলে প্রতিপক্ষকে নিয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা সাজানোর একটা সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। দলটির একাদশে আনা হয়েছে এক পরিবর্তন। নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে খেলা একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। তার জায়গায় দলে এসেছেন পেসার ফাহিম আশরাফ।
সুপার ফোরের এই ম্যাচটিতে জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে ইতিহাস গড়তে হবে। কারণ এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে এবার হারালে হবে নতুন ইতিহাস। দেশটিতে ১১টি ম্যাচ খেলে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ।
এ দিকে সবশেষ ৫ ম্যাচের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ৪টি জয় এসেছে লাল-সবুজের পক্ষে। আর একটি জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তবে সেগুলো অনেক আগের পরিসংখ্যান। দুদলের মধ্যে সবশেষ ম্যাচটি হয়েছে ২০১৯ সালের জুলাইতে। তারপরে ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি দেখা হয়নি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৩৭ ম্যাচ হয়েছে এই দুই দলের মধ্যে। যেখানে অনেক এগিয়ে পাকিস্তান। তাদের ৩২ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় কেবল ৫টি। যদিও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এবার ফল কোনদিকে যায়, সেটি দেখার জন্য ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশের একাদশ
মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তানের একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, ফখর জামান, ইমাম উল হক, সালমান আলী আগা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।