কমিটিতে কাঙ্খিত পদ না পেয়ে কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আ’লীগের নবগঠিত ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে তিন সহ-সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহ ৩৩ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
১০ সেপ্টম্বর রবিবার সাংবাদিকদের কাছে ৩৩ জনের সাক্ষরিত পদত্যাগপত্রের কপি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে যে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের বরাবরে সাক্ষরিত পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ৮ নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৩ সালের ১৮ই মার্চ তারিখে। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করার পর একটি পক্ষ পদ বঞ্চিত হয়ে সভাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় উভয়পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তীতে আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করার কথা জানিয়ে চলে আসেন নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলন অনুষ্ঠানের ৬ মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এমরান হোসেনকে সভাপতি ও হিরাবুল বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন করেন উপজেলা আ’লীগ। এই কমিটি ঘোষণা করার পর আবারো ক্ষোভ দেখা দেয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে।
উক্ত কমিটি অনুমোদনের প্রতিবাদে স্থানীয় নাড়ায়নখোলা বাজারে গতকাল শনিবার বিকেলে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এতে বক্তাগন অভিযোগ করে বলেন যে, “ঘোষিত কমিটির সভাপতি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য এবং তার পিতা পিস কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও অভিযোগ করা হয় যে কমিটিতে আ’লীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। অর্থ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিএনপির লোককেও কমিটিতে স্থান করে দেয়া হয়েছে।”
এবিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন বলেন, “যথেষ্ট যাচাই বাছাই করে যোগ্যদেরকেই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। কাঙ্খিত পদ না পেয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার সহোদর বড়ভাই ১৩ বছর ধরে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তখন তো কেউ কোন অভিযোগ করেননি।