শেরপুরের ১১নং বলাইরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত নারী) ইউপি সদস্য কর্তৃক এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারদরের অভিযোগ উঠেছে। ২১ জুলাই (শুক্রবার) দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার ১১নং বলাইরচর ইউনিয়নের চরশ্রীপুর কান্দাপাড়া গ্রামে (সংরক্ষিত নারী) ইউপি সদস্য মোছা.ফুলকুমারি বেগমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এজহার সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী মোছাঃ শিরিনা বেগম চরশ্রীপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং (ইজিপিপি) প্রকল্পের একজন মাটিকাটা শ্রমিক। গত কয়েকদিন পূর্বে ৩০ দিনের একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী এই ৩০ দিনের কর্মসূচিতে অন্তত দক্ষতার সাথে নিয়মিত মাটি কেটেছে। সেই প্রকল্পের টাকা সবাই পেলেও ভুক্তভোগী ওই নারী পাইনি, এক পর্যায়ে ইউপি সদস্যর কাছে টাকার জন্য গেলে ভুক্তভোগীর উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে স্বামী সন্তান সাথে নিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর উপর এলোপাথাড়ি ভাবে কিল,ঘুষি,লাথি মেরে ফেলে দেয় ও পরিহিত কাপড় টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানি করে।
খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে ও স্বামী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপরও আক্রমণ করেন ইউপি সদস্যর লোকজন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে (সংরক্ষিত নারী) ইউপি সদস্য বলেন, তারা কাজে অনুপস্থিত ছিলো তাই টাকা আসেনি। এর জন্য সে আমার বাড়িতে এসে আমাকে হামলা করেছে। আমি তাদের উপর কোন হামলা করিনি।
চেয়ারম্যান মনিরুল আলম মনি বলেন, পিআইও অফিস থেকে কর্মকর্তারা যাদের অনুপস্থিত পেয়েছে তাদের টাকা আসবে না। ওই মহিলা তার লোকজন দিয়ে রাস্তায় মোটরসাইকেল আটকে দিয়েছে এবং সেই ওল্টো নারি মহিলা সদস্যকে হামলা করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গ্রামের সকল স্তরের মানুষ অসহায় ওই ভুক্তভোগী নারীর উপর এমন নেক্কার জনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার (ওসি) তদন্ত সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।