রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের ১৮টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মার্কেটের নতুন কাঁচাবাজারের সামনে ৯টি ও ভেতরে ৯টি স্বর্ণের দোকান ছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, আলিফ জুয়েলার্স, হেনা জুয়েলার্স, দুবাই জুয়েলার্স, সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স, মুন জুয়েলার্স, রিয়াদ জুয়েলার্স ও মা জুয়েলার্স আগুনে পুড়ে গেছে।
দুবাই জুয়েলার্সের মালিক আমির হোসেন জানান, তার দুটি জুয়েলার্সের দোকান ছিল। ভোর চারটায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসসেন তিনি। তখনও তার দোকানে আগুন লাগেনি। মার্কেট বন্ধ থাকায় মালামাল সব সরাতে পারেননি। দুই দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটের মোট ১৮টি স্বর্ণের দোকান ছিল। সব পুড়ে গেছে।
সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স আবু কাওশার বলেন, আমার দোকানে দুই কোটি টাকার কাছাকাছি মালামাল ছিল। কিছু বের করা গেছে তবে বেশির ভাগই দোকানে ছিল। এখন দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। স্বর্ণের দোকান ছাড়াও মার্কেটটিতে কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে মার্কেটটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
রাত সোয়া তিনটা নাগাদ লাগা আগুন অবিরতভাবে জ্বলছে ৬ ঘণ্টা ধরে। ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটের ১৪৮ জন কর্মী, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই), বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
মোহাম্মদ থানার ডিউটি অফিসার এসআই দেবলাল সরকার রনি দৈনিক নববার্তাকে বলেন, রাত ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লাগার সংবাদ পাই। ঘটনার পর থেকে সেখানে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত আছেন। স্থানীয়রা জানান, মার্কেটের টিনশেড অংশের বেশ কিছু জায়গা পুড়ে গেছে। এখনো টিনশেডের অনেকাংশেই আগুন জ্বলছে।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল দৈনিক নববার্তাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে একটি বেকারি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে মুহুর্মুহু এসি বিস্ফোরণ হচ্ছে, সেটি সত্যি নয়। এই মার্কেটে এসির সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।