ঢাকার মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানান সার্ভিসের সদর দফতরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার।
সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আগুনের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তবে প্রতিটি দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে সময় লাগবে। প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ মার্কেটে অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জ্বলে আগুন। এখনো চারিদিকে ধোঁয়ায় ছেয়ে রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। এরই মধ্যে উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে পুলিশ, সেনা, বিমান ও নৌ, বিজিবি, র্যাব এবং আনসার।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হওয়া মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটও বঙ্গবাজারের মতো বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইন্টেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের আগুনের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কৃষি মার্কেটটিতে কোনো সেফটি প্ল্যান নাই। এই মার্কেটটিতে বারংবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে। সচেতনতার প্রোগ্রাম যেভাবে আমরা করেছি সেভাবে তারা সাড়া প্রদান করেননি। এই মার্কেটটা কিছুটা বঙ্গবাজার টাইপের।
তিনি বলেন, এখানে ভেতরে যতগুলো রাস্তা এবং বাইরের যেসব ছোট ছোট রাস্তা আছে পুরোটাই বিভিন্ন মালামাল দিয়ে গাদাগাদি করে বন্ধ করা ছিল। পুরো মার্কেট টাইট কলাবসিবল গেট দিয়ে আটকানো ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকা ও মানুষের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।
তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদপুর নতুন বাজার (কৃষি মার্কেট) আগুন লাগার খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা এখানে চলে আসি। ৩টা ৫২ মিনিট থেকে আমরা এখানে আগুন নির্বাপনের চেষ্টা করি। আমরা ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ এনেছি। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। আমাদের সাথে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, এখানকার নাইট গার্ড যারা ছিলেন তারা বাহিরে ছিলেন। তাদেরকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি তেমন একটা। আমাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে ভেতরে ফায়ার ফাইটারদের প্রবেশ করতে। তালা ভেঙে এবং কলাবসিবল গেট ভেঙে আমাদেরকে ভেতরে গিয়ে তারপর আগুন নির্বাপনে কাজ করতে হয়। এ মার্কেটের বাইরেও বিভিন্নভাবে রাস্তাগুলো দখল করা ছিল। দোকানের সামনে ছোটখাটো দোকান আমাদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর জন্য আমাদেরকে বেগ পেতে হয়।