শেরপুরের শ্রীবরদীতে মিথ্যা মামমলা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানির প্রতিবাদে গড়জরিপা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ১০নং গড়জরিপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ জলিলের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জলিল।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ইউনিয়নবাসি আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনের পর থেকে পরাজিত একাধিক মহল ঈর্শান্বিত হয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে নানাভাবে চক্রান্ত করে আসছে। আমি সম্পুর্ণ নিরপেক্ষতা ও সততার সাথে জনগণের সেবা করে আসছি। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে না পেরে আমাকে হয়রানী করার উদ্দেশে গড়জরিপা গ্রামের রুস্তম আলীর স্ত্রী ছালেহা খাতুনকে বাদী করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীবরদী, শেরপুর এর সি আর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এতে আমিসহ আমার দুই ছেলেকে বিবাদী করা হয়েছে। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি আরো বলেন, উক্ত মামলার বাদী এবং সকল স্বাক্ষীগণ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ভিডব্লিউবি কার্ডধারী সদস্য হিসাবে নিয়মিত সুবিধা ভোগ করে আসছেন। সকল সুবিধা ভোগ করা সত্বেও মামলার অভিযোগে বলছেন আমি তাদের কার্ডের চাল তাদেরকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছি। এতে আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ইতোমধ্যে মামলার ১,৩,৫ ও ৭ নং স্বাক্ষীগণ এভিডেভিড মুলে জানিয়েছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেনা এবং তারা তাদের কার্ডের বরাদ্দকৃত চাল নিয়মিত পেয়ে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, “তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং আমাকে হেয় করতে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এতে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি একটি কুচক্রী মহলের হয়রানির শিকার হচ্ছি। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এমারুল জাহিদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ্জামান সহ সকল ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার সাক্ষী আকলিমা বেগম, রাবিয়া আক্তার রেশমী ও সুফিয়া বেগম জানান- তারা মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না, তারা নিয়মিত প্রতিমাসের চাউল পেয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের কাছে থেকে কেউ কোন টাকা নেয়নি এবং টাকা দাবিও করেনি। মামলার বাদী ছালেহা খাতুনের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।