বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও ওপেনার তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাসেল আল মামুন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচককে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, হেড কোচ চন্ডিকা চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অযোগ্য কোচ, যে কি না নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। যার ওডিআই ক্যারিয়ারে খেলার ম্যাচ সংখ্যা ছিল ৩৫টি এবং গড় ছিল মাত্র ২০ দশমিক ৯০। আমাদের দেশের কোচ হওয়ার পূর্বে কোনো দেশের পূর্ণাঙ্গ কোচও ছিল না। হয়তো কোনো মহলের কমিশনের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এবং দেশের ক্রিকেটকে শেষ করার জন্য তাকে আমাদের দেশের হেড কোচ বানানো হয়েছে। হাথুরুসিংহে কোচ হওয়ার পর থেকে সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। পঞ্চপাণ্ডবের হাত ধরে এই দেশের ওডিআই র্যাংকিং ৫ নম্বরে ছিল, সে পঞ্চপাণ্ডবকে দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই বছরে তার নেতৃত্ব ৫টি ওডিআই সিরিজে আয়ারল্যান্ড ছাড়া বাকি সব সিরিজে পরাজিত হয়েছে এবং সর্বশেষ ইংল্যান্ড, আফগানিস্থান ও নিউজিল্যান্ড এর কাছে ঘরের মাটিতে পরাজিত হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ও ম্যাচসংখ্যায় দ্বিতীয় সেরা অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। তার জায়গা হলো না বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে! এটি একটি ষড়যন্ত্র। এশিয়া কাপে ভরাডুবি হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ওপেনিং। নতুন প্লেয়ার তথা তানজিম তামিমকে এই বড় মঞ্চে ওঠানো ঠিক হবে না বরং অভিজ্ঞ তামিম ইকবালে ঠিক। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তামিমের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি আছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সেঞ্চুরির মালিক।
লর্ডসের অনার বোর্ডে একমাত্র বাংলাদেশি সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে তামিম ইকবালের নাম আছে। ঘরের মাটিতে তার গড় ৩৭, ঘরের বাইরে ৩৫-এর মতো, দুই জায়গাতেই সমান সাতটি করে সেঞ্চুরি আছে তামিমের। সুতরাং আনফিটের অজুহাতে অভিজ্ঞ তামিমকে দলে না রাখা কোচ ও অধিনায়কের ব্যক্তিগত আক্রোশই দায়ী।