মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে রয়েছ মাদকদ্রব্য ও মাটি ব্যবসার অভিযোগ। যা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পদ প্রত্যাশী বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকদ্রব্য সেবন ও মাটি ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ। এতে করে ছাত্রলীগের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে এম. এ সিফাদ কোরাইশী সুমনকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং রাজিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকবে সবদিক দিয়ে ক্লিন ইমেজের এবং আওয়ামী লীগের পরিবারের নেতাকর্মীরা। কিন্তু দেখা গেছে মাদকের সঙ্গে জড়িত এবং বিএনপি পরিবারের সদস্যদের দিয়ে কমিটি দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর উপজেলায় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই কর্মীসভায় মাদকসেবী ও বিএনপি পরিবারের এবং বিএনপির এক সময়ের একনিষ্ঠ কর্মীরাও পদপ্রত্যাশী বলে একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ।
দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতোয়ার রহমান সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাজু সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক শেখ পলাশ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আতোয়ার রহমান একসময়ের বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। আতোয়ার ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে মতিলাল ডিগ্রি কলেজের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। এছাড়াও আতোয়ার বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও অবৈধভাবে বালু মাটির ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
হাবিবুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে বিবাহিত এবং নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। হাবিবুর রহমান রাজুর ইতোপূর্বে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কারও হয়েছিলেন। শেখ পলাশও মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের নামে ইতোপূর্বেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কদ্দুস বলেন- কমিটিতে যেন মাদকের সঙ্গে জড়িত এবং বিএনপি পরিবারের কেউ পদ না পায় সেজন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গুরুত্ব দেবেন এবং ছাত্রলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ এমন প্রার্থীকে পদ দেবেন এমনটাই আমাদের দাবি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সর্বদা মাদকের বিরুদ্ধে। যে মুখে মা ডাক হয়, সে মুখে মাদক নয় এই স্লোগানে জেলা ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। যদি কোনো ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মাদকের সঙ্গে এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকে তবে যাচাই করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী যে কমিটি দেওয়া হবে তাতে অবশ্যই এসব বিষয় বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।