dailynobobarta logo
আজ সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

বিচার না পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক
রাব্বু হক প্রধান, আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩ | ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
বিচার না পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে লাথি মেরে অপমান করার বিচার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার।

সোমবার (০২ অক্টোবর) সকালে আটোয়ারী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগি ধামোর ইউনিয়নের বারাগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দিন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি অসুস্থ হওয়ায় কথা বলতে পারেননি। তবে তার ছেলে শাহ আলম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শোনান।

এসময় তিনি জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীন রাধানগর ইউনিয়নের ঘোড়াডাঙ্গা গ্রামের জনৈক অলিয়র রহমান বিমাতা ঘরের ছেলে সর্ম্পকে ভাতিজা হয়। এই ভাতিজা জোর পূর্বক দুটি দান পত্র দলিল দেখিয়ে রহিম উদ্দীনের ৬ একর জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। ভাতিজা অলিয়রের চেয়ে চাচা রহিম উদ্দীন ছোট হওয়ায় জমি জায়গা অলিয়র ও তার বাবার ভোগদখলে ছিল। রহিম উদ্দীন সাবালক হওয়ার পর জমি চাইতে গেলে তারা অস্বীকার করে। পরে রহিম উদ্দীন পঞ্চগড় আদালতে ২০০৭ সালে সিভিল মামলা করে এবং ২০১৪ সালে সেই মামলার রায় পান তিনি। রায় পেয়ে জমিতে গেলে ভোগদখলকারী অলিয়র রহমান আমার বাবাকে লাথিমেরে বের করে দিয়েছিল। পরে আমার বাবা উচ্চ আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে চলমান রহিয়াছে।

এর মধ্যে ২০২১ সালের বিজয় দিবসের দিন আমার বাবা রহিম উদ্দীন উক্ত বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। ওই দিন বিকেলে অলিয়র রহমান মৃত্যু বরন করেন। পরে আমার বাবা সহ আমরা পরিবারের সকলে মিলে জমি ফিরিয়ে পাওয়ার দাবীতে লাশ দাফনে বাধা প্রদান করি। ঠিক সেই মূহুর্তে অলিয়রের বড় ছেলে বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলম আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীনকে এলোপাথারি লাথি মারা শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। এরপর এই ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা আদালতে মামলা করতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং গ্রামের সচেতন সমাজ মামলা না করার অনুরোধ জানান। দির্ঘদিন ধরে তারা মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও মিমাংসা করতে ব্যর্থ হন। আর এ কারনেই গণমাধ্যমের আশ্রয় নেন মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার।

এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই ঘটনা নিয়ে ওই সময়ে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মিমাংসার জন্য বসেছিলেন কিন্তু কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় জমির সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরে আমার জমিতে অনুপ্রবেশ করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে সেদিনের বৈঠকে কথাটা উঠতো, উঠলে সেটারও বিচার হতো। সেদিন বলেনি আজ তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার ক্ষতি করার জন্য এসব করে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনাটা সর্ম্পুন মিথ্যা বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে, বীরমুক্তিযোদ্ধার দুই স্ত্রী মোছাঃ সহিদা বেগম ও মোছাঃ খুশিয়া বেগম, মেয়ে মোছাঃ রাজিয়া বেগম ও রাবেয়া বেগম, বৌমা মোছাঃ রানু বেগম সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় অন্যানের মধ্যে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সহ জেলা ও উপজেলার গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com