দেশে শুরু হয়েছে কৃষি জমির আবর্জনা পরিষ্কারের মৌসুম। মানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষি কাজে ব্যবহৃত প্রধান যন্ত্র কাস্তে ও ট্রাক্টরের খিল তৈরিতে কর্মকাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরেজমিনে উপজেলার সিংজুরী কামারপাড়া গিয়ে দেখা যায় কাস্তে ও ট্রাক্টরের খিল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে সুনীল ও রঞ্জিত কর্মকার।
কাস্তে ও খিল তৈরির প্রধান কাঁচামাল লোহা। দীর্ঘক্ষণ আগুনে লোহার পাত পুড়িয়ে সেই লোহার পাতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হয় কাস্তে ও খিল। পরে কাস্তে গুলোতে কাঠের হাতা লাগানো হয় ও ধারালো করে তোলা হয়।
জানা যায়, এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক কর্মকার এ শিল্পের সাথে জড়িত। কর্মকারদের নিপুণ হাতে তৈরি কাস্তে খুবই ধারালো ও নিখুঁত। এখানকার উৎপন্ন কাস্তে ও খিল বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু ধান মাড়াইয়ের নানা আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বের হওয়ায় দিন দিন এ পেশা অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন। কাস্তে শিল্পে নানা সমস্যা থাকলেও এখানকার কর্মকাররা পেশাকে আঁকড়ে ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
সিংজুরী গ্রামের রঞ্জিত কর্মকার জানান, বর্তমানে লোহার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পেশায় লাভবান হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, তাদের তৈরিকৃত ১০০টি কাস্তের মূল্য আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কামার শিল্পের শ্রমিকদেরকে ওস্তাদ-সাগরেদ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।