স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার কিছু সময় আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এর আগে তিনি সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।
সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, গত সাড়ে ১৪ বছরে তার সরকার যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। রেলের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
আজ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর একটি স্বপ্নপূরণের দিন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরেন। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, বিশ্বখ্যাত একজন মানুষ, সামান্য একটি ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারবেন না বলে বিশ্বব্যাংককে দিয়ে অর্থায়ন বন্ধ করেছিলেন। সেদিন আমি বলেছিলাম, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি।
কিছুক্ষণের মধ্যে টিকিট কেটে মাওয়া থেকে ট্রেনে করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন ৩৮৬ অতিথি। দুপুর ১টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেলে ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
দীর্ঘ ছয় বছর পর ভাঙ্গায় যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাকে বরণে জনসভাস্থলে সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করেছেন। প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে জনসভাস্থল ডা.কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আসছেন নেতাকর্মীরা।
উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পুরো রেলপথটি চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রেল যোগাযোগ সহজ হবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত তিনটি অংশে রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন, ঢাকা-গেন্ডারিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ডাবল লাইন, লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-কানেকশসসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।