dailynobobarta logo
ঢাকামঙ্গলবার , ১০ অক্টোবর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

১৫ বছর ধরে দুই গ্রামের মানুষের ভরসা নড়বড়ে সাঁকো!

গোলাম রব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার
অক্টোবর ১০, ২০২৩ ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুড়িগ্রাম পৌরসভার অন্তর্গত দুটি গ্রাম নামা ভেলাকোপা ও টাপু ভেলাকোপা। এ দুটি গ্রামে বাস করে কয়েক হাজার মানুষ। আর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের এ দুটি গ্রামের মানুষদের নিয়মিত চলাচল করতে হচ্ছে একমাত্র নড়বড়ে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এ নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে এখানকার মানুষজনকে।অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও দুই গ্রামের মানুষদের এখন চরম দূর্ভোগে কাটছে দিন।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করে। গ্রামের মানুষেরা নিজেরা তাদের দেয়া চাঁদার টাকায় নিয়মিত সংস্কার করে চলে আসছে দিনগুলো। বছরের পর বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কোন বিত্তবানরা এগিয়ে আসেননি এটি সংস্কার কিংবা নতুন করে তৈরিতে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিগণ ভোট নিতে এলে মুখের ফুলঝুড়ি দিয়ে আশ্বাস দেন কিন্তু তা বাস্তবে রুপ নেয়না। ফলে তাদের দুর্ভোগ ও কষ্ট থেকেই যায়। তারা নতুন করে কোন সেতুর মুখ দেখছেন না বলে বিস্তর অভিযোগ

সরেজমিনে জানা যায়,নামা ভেলাকোপা ও টাপু ভেলাকোপা গ্রামের এ সাঁকোটির জরাজীর্ণ অবস্থা।প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে এই সাঁকো দিয়ে পার হতে হচ্ছে খালের দুই দিকের গ্রামের বাসিন্দাদের। পাশাপাশি এর দুদিকে রয়েছে একটি মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। একারনে বরাবরই দুটি প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীসহ সকলকে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।দিনদিন যেন এটি মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সাঁকোটিতে নড়বড়ে রেলিং বিহীন হওয়ায় আরো দুশ্চিন্তার। ইচ্ছে না থাকলেও কোন উপায় নেই। কেননা বাঁশের চাটাই বিছানো ২ ফুট প্রস্থ আর ৯০ ফুট দৈর্ঘের এ সাঁকোটি ছাড়া আর বিকল্প কোন রাস্তা নেই এসব মানুষের চলাচলের জন্য। এতে তাদের প্রতিনিয়ত চরম হতাশা, ক্ষোভ আর ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে। আর এনিয়ে এখানকার বাসিন্দারা বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করে তেমন কোন সাড়া পাননি বলে অভিযোগ তাদের। পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতাকে দায়ী করছেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।

সাঁকো দিয়ে চলাচলরত ভ্যান চালক মো:রতু মিয়া জানান, এত কষ্ট করি ভ্যানে করি মাল নেয়া এই সাঁকোর দিয়া খুবই কঠিন। কখন যে ভাঙি পড়বে তা কবার পাইনা। অন্যদিকে, মাদরাসা শিক্ষার্থী আলম হোসেন জানায়, এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করা খুবই সমস্যা। আমরা মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী ও প্রাইমারীর ছাত্র-ছাত্রীরা সবসময় ভয়ে থাকি।যেকোন মুহুর্তে ভেঙে যেতে পারে এ নড়বড়ে সাঁকো।

স্থানীয় বাসিন্দা রাসেদ মিয়া জানান, এ সাঁকোকর ওপর দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর। গত কয়েক বছর আগে এইখানে একটি বাঁধ ছিলো। বন্যার হওয়ার পর সেটি ভেঙে পুরো খালে পরিণত হয়। হেঁটে যাওয়াই দুষ্কর তার ওপর কেউ মোটর সাইকেলে করে গেলে জীবনের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। ভেলাকোপার কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা জাবেদ আলী বলেন, আমরা গ্রামবাসী চাঁদা তুলে এ বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেছি। সারা বছর এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে আমাদের নানা দূর্ভোগে পড়তে হয়।

তাছাড়া হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জেলা সদরে হাসপাতালে যাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। আমরা দ্রæততম সময়ে এখানে একটা সেতু চাই। ১নং কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন কবির বলেন, আমরা তো ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাই। তারপরও দূর্ঘটনার ভয় তো থাকেই। আমাদের স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুব চিন্তা হয়। এখানে জরুরী ভিত্তিতে একটা ব্রীজ হওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, নামা ভেলাকোপা ব্রীজের চাহিদার বিষয়টি অনেক আগেই ঢাকায় প্রেরণ করেছি। সেখান থেকে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে দ্রæততম সময়ে টেন্ডারের মাধ্যমে সেটির কাজ শুরু করা হবে।

গোলাম রব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার | Website | + posts

গোলাম রব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ