dailynobobarta logo
আজ শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১১:১০ অপরাহ্ণ
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা চেন্নাইয়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে। পাকিস্তানের দরকার এক উইকেট, দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ রান। উইকেটে কেশভ মহারাজ ও তাবরাইজ শামসি। ঠুকে ঠুকে শেষ পর্যন্ত ১১ রান নিয়েই ফেললো প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের জয় এক উইকেটে।

১৯৯৯ আসরের পর আর কোনো বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই যুগ পর আইসিসির ইভেন্টে তারা হারের বৃত্ত ভেঙেছে। বলতে গেলে এক প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করামের কাছেই হেরে গেল বাবর আজমের দল।

এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে প্রোটিয়ারা। ৬ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট তাদের নামের পাশে। ১০ পয়েন্ট আছে স্বাগতিক ভারতেরও। তবে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে। বিপরীত অবস্থা বাবর আজমের দলের। ৬ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট তাদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হার তাদের নিয়ে গেছে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার আরও কাছে।

রান তাড়া করতে নেমে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওভারে তুলে ১১ রান। শাহিন আফ্রিদির করা দ্বিতীয় ওভারে কুইন্টন ডি কক একাই তুলেন ১৯ রান। ১৪ বলে ২৪ রান করে দলীয় ৩৪ রানে আউট হন তিনি। টেম্বা বাভুমা ২৮ রান করে ওয়াসিম জুনিয়রের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।

রসি ভ্যান ডার ডুসেন করেন ২১ রান। ‍তুখোর ফর্মে থাকা হেইনরিখ ক্লাসেন আউট হন মাত্র ১২ রান করে। এরপর ডেভিড মিলারকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এইডেন মারক্রাম। মিলার ২৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলেও মারক্রাম হাল ধরে ছিলেন। মার্কো জানসেন তাকে ২০ রান করে সঙ্গ দেন। মারক্রাম আউট হন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে। ৯৩ বলে ৯১ রান করে উসামা মিরের বলে আউট হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।

খেলা পুরোপুরি জমে উঠে জেরাল্ড কোয়েটজে আউট হলে। শাহিন আফ্রিদির করা বল তার ব্যাটের কানা ছুয়ে রিজওয়ানের হাতে চলে যায়। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২৫০। লুঙ্গি এনগিদি গুরুত্বপূর্ণ ৪ রান করেন কেশভ মহারাজের সঙ্গে। তাকে দারুণ এক বলে আউট করেন হারিস রউফ, এনগিদির ক্যাচ রউফ নিজেই ধরেন। এরপর আরও চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। কিন্তু শেষ উইকেটে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন মহারাজ ও শামসি।

এর আগে দলীয় পারফরম্যান্সে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে শাকিল ৫২, বাবর আজম ৫০, শাদাব খান ৪৩, রিজওয়ান ৩১, নেওয়াজ ২৪ ও ইফতিখার ২১ রান করেন। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪ উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি। মার্কো জানসেন ৩, জেরাল্ড কোয়েটজে ২ ও লুঙ্গি এনগিদি একটি উইকেট পান।

পাকিস্তানের দুই ওপেনার বিদায় নেন ৩৮ রানের মধ্যে। আবদুল্লাহ শফিক ৯ ও ইমাম উল হক করেন ১২ রান। চাপ সামলে হাল ধরেন বাবর আজম ও রিজওয়ান। দারুণ দারুণ সব শট খেলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন পরের জন। কোয়েটজের বাউন্সারে ব্যাট লাগিয়ে ডি ককের হাতে ধরা পড়েন তিনি। রিজওয়ান বিদায় নিলে ইফতিখারকে নিয়ে ইনিংস গড়ায় মনযোগী হন বাবর।

দলীয় ১২৯ রানের মাথায় ছক্কা মারতে গিয়ে ইফতিখার সীমানার কাছে ধরা পড়েন ক্লাসেনের হাতে। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন বাবরও। ৬৫ বলে ৪ট চার ও একটি ছয় হাঁকান তিনি। ৫ উইকেট চলে যাওয়ার পর শাদাব ও সৌদ শাকিলের ব্যাটে ৮৪ রান তোলে পাকিস্তান। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা শাদাব আউট হন ভুল শট সিলেকশনে। ৩৬ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয় মারেন তিনি। তবে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শাকিল। তিনি আউট গেলে পরের ব্যাটাররা স্কোর বোর্ডে আর ১১ রান তুলতে সক্ষম হন।

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com