বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ভাগ্যের সহায়তা এবং জিমি নিশামের ব্যাটে প্রথম ৪ বলে ১২ রান এসে পড়ে কিউইদের। শেষ ২ বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। একটি ছক্কা মারতে পারলেই ইতিহাসের খাতায় হয়তো নাম লিখাতে পারতেন নিশাম। তবে সেটা করে দেখাতে পারেননি কিউই এই ব্যাটার।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ধর্মশালায় বিশ্বকাপ ইতিহাসে অন্যতম এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড। ৭৭১ রানের ম্যাচে কিউইদের ৫ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার ঘটনাটাও ঘটেছে এবারই, শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের ম্যাচে। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে গড়া পাকিস্তানের সেই রেকর্ডটা প্রায় ভেঙেই ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে সেটা করা হয়নি মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। আক্ষেপটা নিশ্চয়ই পোড়াবে নিউজিল্যান্ডকে। তবে সবচেয়ে বেশি পোড়াবে রচিন রবীন্দ্রকে। কারণ হারা ম্যাচেই তো জীবনের অন্যতম সেরা ১১৬ রানের ইনিংসটি খেলেছেন তিনি।
কিউইদের রান তাড়ার ইতিহাস না গড়া হলেও অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের এই ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েছে। এই ম্যাচে দুই দলের মোট রান ৭৭১। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ইনজুরি থেকে ফিরেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে তিনিই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। মূলত তার কাঁধে চেপে ম্যাচটা জিতেছে অজিরা। ৬৭ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৯ রান করেছেন হেড। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন আরেক অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। এই দুজন মিলে ওপেনিংয়ে যোগ করেন ১৭৫ রান। বিধ্বংসী এই জুটি ভাঙেন গ্লেন ফিলিপস।
৬৫ বলে ৮১ রান করে ফিলিপসের বলে আউট হন ওয়ার্নার। সেঞ্চুরির পর আউট হন হেডও। এরপর রানের গতি কমতে থাকে তাদের। স্টিভ স্মিথ দলীয় ২২৮ রানে, মিচেল মার্শ ২৬৪ রানে, মার্নাস লাবুশেন ২৭৪ রানে বিদায় নেন। এদের মধ্যে স্মিথ ১৮, মার্শ ৩৬ ও লাবুশেন ১৮ রান করেন।
শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংস আসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জস ইংলিস ও প্যাট কামিন্সের ব্যাট থেকে। ডাচদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ম্যাক্সওয়েল ২৪ বলে ৪১ রান করে জিমি নিশামের ওভারে আউট হন। ইংলিসকে ৩৮ রানে আউট করেন বোল্ট। ১৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন কামিন্স। মিচেল স্টার্ককে ম্যাট হেনরি ও অ্যাডাম জাম্পাকে তুলে নেন বোল্ট।