বিএনপি জামায়াতের ডাকা ৭২ ঘন্টা অবরোধের প্রথম দিনে খাগড়াছড়িতে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে, উত্তপ্ত পরিস্থিতি হবার মত তেমন কিছু ই দেখা যায়নি। আজ মঙ্গলবার (৩১ শে অক্টোবর) অবরোধের কারণে ভোর হতে আভ্যন্তরীণ সড়কে কিছু কিছু যান চলাচল করলে ও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস চলাচল না করলেও দূরের যাত্রীদের জন্য সিএনজি, মোটর সাইকেল ও মাহিদ্র চলাচল অব্যাহত ছিল। এসব ছোট ছোট যান চলাচলে বিরূপ কোন প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েনি। তাছাড়া রাস্তায় কোনো যাত্রীকে দূর্ভোগ পোহাতে দেখা যায় নি। অফিস, আদালত ও দোকানপাট যথা সময়ে খোলা হয়েছে তবে লোকসমাগম কিছুটা কম ছিল। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে এই আশঙ্কায় লোকজন রাস্তাঘাটে বের হয়নি। কোনো রকম বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি এখনও।
জেলা শহরের তাজ মেডিকেল হল এর সত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, “সকালে কয়েকজন রোগী দেখেছি, অন্যদিনের মতো ঔষধ বিক্রি করেছি। অবরোধের কোনো প্রভাব আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাস চলছে না, তাই দূরের লোক সমাগম কিছুটা কম। জীবন জীবিকা ও জরুরী কাজ ছাড়া কেউ দূর দূরান্তে যাচ্ছে না”।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সড়কে জনগনের জান ও মালের নিরাপত্তায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অবরোধের পিকেটিং করতে পারে এমন স্থান গুলোতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় সিএনজি চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, “শুধু বাস চলছে না, তাছাড়া সব কিছুই স্বাভাবিক আছে। বিএনপির নেতারা অবরোধ ডেকে বাসায় ঘুমিয়ে আছে। তারা জনগনের কষ্ট দেখতে পছন্দ করে, তাই অবরোধের ডাক দিয়ে মাঠে নাই। এটা “উত্তাপহীন অবরোধ” যা আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষকে অভুক্ত রাখার পাঁয়তারা ছাড়া আর অন্য কিছু নয়।
উল্লেখ্য, সরকারকে উৎখাত করা লক্ষ্যে ২৮ শে অক্টোবরকে কেন্দ্র করে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি জামাত। এই সমাবেশে হতে প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা, সাংবাদিক ও পুলিশদের আহত নিহত করে। এরপর বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হন মহাসচিবসহ সারাদেশে বিএনপি জামাতের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।