বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দর লঞ্চঘাটের আড়িয়ালখাঁ নদীর সংযোগ টরকী-বাশাইল খালের প্রবেশদ্বার মুখে অবৈধভাবে দখল করে বাধদিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে টরকী বন্দরের একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সরকারি খাল দখল ও উপজেলা পানি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে টরকী-বাশাইল খালের পানি প্রবেশ মুখে বাধ দিয়ে কৃষকদের জিম্মি করে সেচপ্রকল্প বসিয়ে অধিক মূল্যে পানি বিক্রি করে আসছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের কিছু রাজনৈতিক নেতা। জিম্মি করে রাখা হয়েছে অনেক অসহায় কৃষকদের, এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নাম না বলা শর্তে কয়েক জন কৃষক। টরকী-বাশাইল খালের অবৈধ দখলদারিদের বিরুদ্ধে একাধিকবার পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা হলেও কর্ণপাত করেনি এই অসাধু দখলদার ব্যবসায়ীরা। জনমনে প্রশ্ন এদের খুঁটির জোর কোথায়।
গত কয়েকদিন যাবত টরকী-বাশাইল খাল এর দখল ও দূষণ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রচার করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেল। তাতেই বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে খালের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শনে আসেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু আব্দুল্লাহ খান।
আড়িয়ালখাঁ নদীর টরকী বন্দর লঞ্চঘাট টরকী- বাশাইল খালে প্রবেশদ্বার মুখের অবৈধ বাধসহ সকল অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনা সরিয়ে নেওয়াসহ খালের বাঁধ অপসারণের নির্দেশে প্রদান করেন। এ সময় সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও লাইন্সেস বিহীন করাতকল স্থাপন করে অবৈধ ভাবে ব্যবসায় করায় মোঃ সোহরাব হোসেন মিয়াকে ১০,০০০/=(দশ হাজার টাকা) জরিমানা করেন মোবাইল কোর্ট আদালতের বিচারক এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খাঁন ও সহকারী (ভূমি) কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন পরে এমন নির্দেশনায় রাজাপুর, ধানডোবা, চেংঙ্গুটিয়া, বাশাইলের কৃষক ও সর্বসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সেই সাথে এই অঞ্চলের মানুষ যত দ্রুত সম্ভব খালের অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করে খালটি পুনর খনন করে এর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী জানান।