লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ বলছেন- লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে ৪ স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ নিবার্চন ঘিরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটার নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। একটি গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণ হবে।
ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ২৩টি মোবাইল টিম থাকবে। দুই থানা এলাকায় থাকবে ৭টি স্ট্রাইকিং। ৪টি স্পেশাল টিম রয়েছে। যেখানেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে, সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে। এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ পৌরসভার (১নং ওয়ার্ড) পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমি কেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ আরও বলেন, আজ থেকে জেলা পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে আছে। আমরা দীর্ঘভাবে বিশ্বাস করি আগামীকালের ভোটের পরিবেশ খুব সুন্দর থাকবে। তাই ভোটারদের উদ্দেশ্য এসপি বলেন, নিরভয়ে, নির সংচিত্রিতে কোন অসুবিধা ছাড়াই ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন। গিয়ে আপনাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবি ছিদ্দিক, হাসান মোস্তফা স্বপন, (সদর) সার্কেল মো. সোহেল রানা, বিশেষ শাখার কর্মকতা (ডিআইওয়ান) মো. আজিজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ও ডিবি পুলিশের (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন টিটোসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা।
এর আগে দুপুরে ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিবার্চনের সরঞ্জাম তুলে দেন লক্ষ্মীপুর-৩ শূন্য আসনে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, র্যাব-৭ টিম, বিজিবি ৬-প্লাটুন। নির্বাচনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে ৯’শ ৫০ পুলিশ, এক হাজার ৪’শ ৮৫ আনসার
সদস্য। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-১৫ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ জন নির্বাচনী মাঠে থাকবে।
আগামীকাল ৫ নভেম্বর এ আসনের ১১৫ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৮৭২টি কক্ষে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্য ২ লাখ ৯ হাজার ৯৬ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন নারী ভোটার।
উল্লেখ্য: ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মারা যান। ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।