সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে গণনা। বিএনপিসহ বিরোধীদের ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেন। ভোটকেন্দ্রের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৮০০ পুলিশ সদস্য, সাত প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এ আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন। উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী জিয়াউল হক মৃধা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মতো লক্ষ্মীপুর-৩ আসনেও শান্তিপূর্ণভাবে উপনির্বাচন হয়। এ আসনের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯৫০ পুলিশ সদস্য, ১ হাজার ৪৯৫ জন আনসার সদস্য ও ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয় উপনির্বাচনের দায়িত্বে। এ ছাড়া র্যাবের সাতটি টিম টহল দেয়।
আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক পিঙ্কু, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন, জাকের পার্টির শামসুল করিম খোকন ও এনপিপির সেলিম মাহমুদ এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে ১ অক্টোবর ওই দুটি আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।